এবি ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৪০ পিএম, ৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১২ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে করা মামলার আসামি এবি ব্যাংকের সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মসিউর রহমান চৌধুরী ও শামীম আহমেদ চৌধুরীসহ ১৫ জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও দুদকের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ মামলার আসামি ব্যাংকটির সাবেক এভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আবদুর রহিম ও ব্যংকটির সাবেক ভিপি শহিদুল ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।আদালত আব্দুর রহিম ও শহিদুল ইসলামকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
যাদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন-এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি মসিউর রহমান চৌধুরী ও শামীম আহমেদ চৌধুরী, এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক ব্যবসায়ী মো. এরশাদ আলী, ব্যাংকটির সাবেক ইভিপি ও শাখা ম্যানেজার এ বি এম আবদুস সাত্তার, এসভিপি ও সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার আনিসুর রহমান, এভিপি মো. রুহুল আমিন, ইভিপি এবং হেড অব সিআরএম ওয়াসিকা আফরোজী, ভিপি, সিএমআরের সদস্য মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব সিআরএম সালমা আক্তার, এভিপি ও সিআরএম সদস্য এমারত হোসেন ফকির, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, এসভিপি ও সিআরএমের সদস্য শামীম এ মোরশেদ, ভিপি ও সিআরএমের সদস্য খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি ও সিআরএমের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য মাহফুজ-উল ইসলাম।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান ও সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, আব্দুর রহিম ও শহিদুল ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত জানতে চান, ‘এই দু’জন কারাগারে, বাকি ১৫ জন কোথায়। তখন আমি বলেছি দুদক তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরপর হাইকোর্ট পালিয়ে বেড়ানো ১৫ জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। আদেশ হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এই গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়া তারা যাতে বিদেশ যেতে না পারে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দুদক, ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং আইজিপি’র প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুন দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি হয়। দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে একে অন্যের সহায়তায় জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে জাল কার্যাদেশ প্রস্তুত করে ছয়টি জাল কার্যাদেশের বিপরীতে ১৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এ ছাড়া মামলায় উল্লিখিত এবি ব্যাংক কাকরাইল শাখার কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়া সাতটি অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে আরও ১০ কোটি টাকা ঋণ দেন, তা তুলে আত্মসাৎ করেন। সব মিলিয়ে আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।