নীলফামারীতে আলু নিয়ে তেলেসমাতি, চলছে আড়তদারদের আজব কারবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:৩৬ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের কোল্ড স্টোরেজগুলিতে যখন পর্যাপ্ত আলু মজুদ থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে, যখন বাজারে সরবরাহেরও ঘাটতি নেই, তবুও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। আলু নিয়ে শুরু হয়েছে তেলেসমাতি কারবার। দোকানীরা যে যেভাবে পারছেন, দাম হাঁকাচ্ছেন। দেখার বা বলার যেন কেউ নেই, পোয়াবার আড়তদারদের।
সাতসকালে মুঠোফোনে দাম ঠিক হচ্ছে আলু, পিঁয়াজ, মরিচ, আদা, রশুনসহ নিত্য সবজির। কোন গৃহস্থের শক্তি নেই বাজারে এসে সরাসরি আলু বা অন্যান্য সবজি বিক্রি করার। আড়তদার সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে, তাদের হাত হয়েই বাজারে নিতে হয় সবকিছু। কোন গৃহস্থ সবজি নিয়ে এলেই আড়তদারের লোকজন টানাহ্যাচড়া করে নিয়ে যায় আড়তে। সেখান থেকে দর কেটেই শুরু বিক্রি।
নীলফামারী জেলার সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজার শাখামাছা বাজারের এটা নিত্য দিনের চিত্র। একই অবস্থা মাছের আড়ত থেকে শুরু করে মরিচ, পিঁয়াজ, আদা, রশুনসহ সব আড়তের। আগে আড়তদারদের ঘরে তুলতে হয় পণ্য। সাতসকালে বিনা পুঁজিতে বাড়ি থেকে আসা আড়তদারদের কারসাজির পর তাদের বেঁধে দেয়া দামেই আলু, মরিচ, পিঁয়াজ, আদা, রশুন কিনে তার পর খুচরা বাজারে বিক্রির অনুমতি মেলে খুচরা ব্যসায়ীদের। এ ভাবে বাজার নিয়ন্ত্রন করে মাত্র কয়েক ঘন্টায় পকেট ভর্তি করে আড়তদারদের ঘরে ফেরা। এ যেন মাছের তেলে মাছ ভাজা।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিমত, আড়তদারদের এ কারসাজি বন্ধ করা না গেলে বাজারের অস্থিরতা থেকেই যাবে। এদিকে কার্টিনাল আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও অন্যান্য জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে। মরিচের ঝাল কিছুটা কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। দেশি পেঁয়াজ ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে। একই বাজারে রশুন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, ফুলকপি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, মুলা ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। অপর দিকে চালের বাজারও অস্থির। প্রকার ভেদে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা।
দিনকাল/এসএস