শরীয়তপুরে শিশু পাচারকারী হিজড়া গ্রেফতার

শরীয়তপুরে শিশু পাচারকারী এক হিজড়াকে পাচারকরা ৬ মাসের শিশু সহ গ্রেফতার করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটিকে পরিবারের হেফাজতে হয়েছে।  

পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায় শরীয়তপুর পৌর এলাকার স্বর্নঘোষ এলাকার এক হিজড়া তানিয়া সিকদার (২২) ধানুকা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত বিল্লাল বেপারীর বাসার পাশে ভাড়া বাসায় থাকে। ফলে বিল্লাল বেপারীর পরিবারের লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। 

একে অপরের বাসায় যাতায়ত করতো। বিল্লাল বেপারীর স্ত্রী শিশু সন্তানটিকে মাঝে মধ্যে হিজড়া তানিয়ার কোলে তার শিশুটিকে দিতেন। 

গতকাল শুক্রবার (২৮ মে) রাতে হিজড়া তানিয়ার কোলে ৬ মাসের শিশু সন্তান মাহমুদ হাসানকে দিয়ে তার মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ ফাকে বিকেল অনুমান ৫টায় শিশু পাচারকারী হিজড়া তানিয়া শিশু মামহমুদ হাসানকে চুরি করে পালিয়ে যায়। 

এ ঘটনার পরে তানিয়াকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। এ ঘটনার পর এলাকায় হুলস্থুল পড়ে যায়। আশে পাশের লোকজন এসে পাচারকারী তানিয়া সহ শিশুটিকে খুজতে থাকে। তাৎক্ষনিক ভাবে শিশুর পরিবার পালং মডেল থানা পুলিশ কে খবর দেয়। 

পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ ঘন্টা পরে রাত অনুমান ১১টায় নড়িয়া উপজেলার শিরঙ্গল এলাকায় শিশু সহ পাচারকারী তানিয়াকে গ্রেফতার করে। পাচারকারী তানিয়ার বাড়ি পার্শ্ববর্তী স্বর্নঘোষ গ্রামে। তানিয়া শিশুটিকে নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। 

এ ব্যাপারে শিশুর বাবা বিল্লাল বেপারী বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটিকে পরিবারের হেফাজতে রাখা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে শিশুর বাবা বিল্লাল বেপারী বলেন, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে পাচারকারী তানিয়া পাচার করার উদ্দেশ্যে আমার শিশু সন্তান কে চুরি করে পালিয়ে যায়। পুলিশ আমার শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। আমি মামলা করেছি। এ ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি চাই।

এব্যাপারে পালং মডেল থানার ওসি মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। শিশুটিকে পরিবারের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আসামীকে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানিয়ে কোর্টে সোপর্দ করা হবে।