শায়েস্তাগঞ্জে মাটির তৈরি জিনিসের দূর্দিন, মৃৎ শিল্পীরা হতাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ২৮ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২৩ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে অবস্থিত সুতাং কুমার পাড়ায় মাটির তৈরি জিনিসের দূদিন যাচ্ছে। আধুনিকতায় ছোয়ায় কদর কমে গেছে মাটির তৈরি জিনিসের বলে মত প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এ মহলের ধারণা এ শিল্পটি অচিরেই সমাজ থেকে ম্লান হতে যেতে পারে।
এ জন্য শিল্প রক্ষা করতে গেলে এখনি সরকারী সাহায্য সহযোগীতা প্রয়োজন। শায়েস্তাগঞ্জে নুরপুর ইউনিয়নের সুতাং বাজারের পাশে আজ থেকে ২/৩’শ বছর পূর্বে গড়ে উঠে কুমার পাড়া। এ পাড়ার লোকজন পূর্ব থেকে মাটি দিয়ে কলস, পাতিল, মটকা, ব্যাঙ্ক, পুতুলসহ বিভিন্ন ধরণের জিনিস তৈরি করে বিক্রি করে আসছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের যুগে এসব মাটির তৈরি জিনিসের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। তারপরও বাব দাদার পেশায় অনেকেই নিয়োজিত থেকে জিনিস তৈরি করে শায়েস্তাগঞ্জে দাউদনগর বাজার, পুরান বাজার, সুতাং বাজার, শাহজীবাজারসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে যাচ্ছে। লোকজন মাটির জিনিসের প্রতি এখন নজর নেই বললেই চলে।
আধুনিক যোগের লোকেরা প্লাষ্টিক, সিরামিক ও লোহার তৈরি জিনিস ক্রয় করতে ব্যস্ত। কুমার পরিবারের কয়েকজন লোকের সাথে আলাপকালে তারা জানায় আধুনিকতায় তাদের তৈরি জিনিস এখন তেমন একটা বিক্রি হচ্ছে না। তারপরও তারা পুরাতন পেশাকে জীবিত করে রেখে সৎপথে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছে।
এ শিল্পের দূর্দিন দেখা দেওয়ায় মৃৎ শিল্পীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। শায়েস্তাগঞ্জের সুতাং ছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে কুমার পাড়া রয়েছে। তারাও বাব দাদার পুরাতন পেশায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন।
মৃৎ শিল্পীরা জানান সরকার তাদের দিকে তেমন কোন নজর দিচ্ছেন না। তারা আরো জানান জিনিস তৈরি করতে এটেল মাটি প্রয়োজন হয়। এ মাটির সংকট দেখা দিয়েছে। মাটি ক্রয় করে নিয়ে আসতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। যে হারে মাটি ক্রয় করা হচ্ছে, সেই তুলনায় তৈরি জিনিসগুলো বিক্রি করে লাভবান তেমন একটা হচ্ছেন না কুমার পাড়ার লোকেরা।