প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার ৫ দিন অনশন, অতপর বিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ২৮ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৩ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে টানা পাঁচদিন ধরে অনশন করছিলেন এক তরুণী। অবশেষে উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানার মধ্যস্থতায় ১০ লাখ টাকা কাবিননামায় প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে হয় ওই তরুণীর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোহেল রানা।
প্রেমিকের নাম মো. রানা (২০)। তিনি উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের দক্ষিণ গাইলজানি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। রানার প্রেমিকা বাড়িতে আসার পর তিনি প্রথমে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অনশন করা তরুণীও দক্ষিণ গাইলজানি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী। রানাও একই কলেজের ছাত্র।
জানা গেছে, রানা ও তার স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। গত রবিবার রাতে ওই তরুণীর বাড়িতে দেখা করতে যান রানা। ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয়রা রানাকে আটক করতে প্রস্তুত হন। কিন্তু তিনি কৌশলে পালিয়ে যান।
পরবর্তীতে প্রেমের অধিকার চেয়ে রানার বাড়িতে যান ওই তরুণী। এ সময় রানা ও তার শারীরিক সম্পর্কের কথা প্রকাশ হয়। সম্পর্কের দাবি করে ওই তরুণী প্রেমিকের বাড়িতে টানা পাঁচদিন ধরে অনশন করেন।
এদিকে, প্রেমিকা বাড়িতে আসলেও রানা তাকে অস্বীকার করেন। দুদিন তিনি বাড়িতেও ছিলেন। পরে তাকে বিয়ে করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সরিয়ে নিয়ে যায় পরিবার।
অপরদিকে, রানা বিয়ে না করলে ওই তরুণী বিষপানে অথবা গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন। এসব কথা জানার পর বিষয়টি সুরাহা করতে এগিয়ে আসেন বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পর রানাদের বাড়িতে যাই। এ সময় ওই তরুণীর পরিবারও সেখানে আসে। পরে দুই পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সমঝোতায় আসার পর ১০ লাখ টাকা কাবিনে রানা ও তার প্রেমিকার বিয়ে দেওয়া হয়।’