নাটোরে প্রকৌশলীকে মারধর : এমপির ভাগ্নে কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩১ এএম, ২৭ মে,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:০৭ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পাউবোর প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় নাফিউল ইসলাম অন্তরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানকে মারপিটের মামলায় গ্রেফতার স্থানীয় এমপির ভাগ্নে নাফিউল ইসলাম অন্তরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মতিন।
তিনি বলেন, দুপুর ১২টার দিকে আসামি নাফিউল ইসলাম অন্তরকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অপরাধী নিজ ভাগ্নেকে গ্রেফতারে পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করায় প্রেসব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশ সুপার লিটন কুনার সাহা। সকাল সাড়ে ১০ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে জেলা পুলিশ।
ব্রিফিংয়ের এসপি লিটন কুমার সাহা বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানকে মারপিটের মামলা দায়েরের পর আসামিকে গ্রেফতারে মাঠে নামে জেলা পুলিশের ছয় টিম। তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের সার্বিক সহযোগিতায় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি আপন ভাগ্নে হওয়া সত্ত্বে¡ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাকে গ্রেফতারে পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করায় এমপি শিমুলকে ধন্যবাদ জানান এসপি লিটন কুমার সাহা। প্রসঙ্গত, সিংড়া পৌরসভা এলাকার আত্রাই ও নাগর নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্পের আওতায় নাটোর অফিস, ভবন ও পরিদর্শন বাংলো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করার অনুমতি পান আসামি নাফিউল ইসলাম অন্তর। তিনি নাটোরের ঠিকাদার মীর আমিরুল ইসলাম জাহানের ছেলে ও নাটোর-২ আসনের এমপি এবং জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলের ভাগ্নে। তিনি পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা যায়, শর্ত অনুযায়ী নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান টাইলস নির্বাচন করে দেন। তিনি ২৪ মে কাজের এলাকা পরিদর্শন করে টাইলস নির্বাচন শেষে কোডসহ ডকুমেন্ট নাফিউল ইসলাম অন্তর ও তার বাবা মীর আমিরুল ইসলাম জাহানের কাছে পাঠান। এ বিষয়ে কথা বলতে তারা সোমবার বিকালে শহরের দক্ষিণ বড়গাছা এলাকায় প্রকৌশলীর অফিসে আসেন। সেখানে বাদানুবাদের জেরে ওই প্রকৌশলীকে মারপিট করে অন্তর। এ সময় সরকারি ফাইল তছনছ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরে অফিসের কর্মচারী ও স্থানীয়রা প্রকৌশলীকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই প্রকৌশলী বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মঙ্গলবার অন্তরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।