মাদারীপুরে ব্যাঙের ছাতার মতো ক্লিনিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৯ পিএম, ২৬ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:০৬ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা সদর ও টেকেরহাট বন্দরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এদের বেশির ভাগেরই লাইসেন্স কিংবা অন্যান্য কাগজপত্র নেই। রোগীদের ঠকিয়ে অল্প সময়েই আঙুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।
বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গত রবিবার টেকেরহাট বন্দরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় লাইসেন্স না থাকায় ইউকে মডেল ল্যাব অ্যান্ড হাসপাতাল, অ্যাপোলো ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর ও টেকেরহাট বন্দরে ১০টি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ১১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এ ছাড়া টেকেরহাট বন্দরে পদ্মা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং রাজৈর বাসস্ট্যান্ডে নিরাপদ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নতুন করে চালু হতে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র আটটির ২০২০-২১ সালের নবায়নকৃত লাইসেন্স রয়েছে।
গত রবিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেলে বেশির ভাগ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বেসরকারি হাসপাতালগুলো যেন মানুষ মারার কারখানা। সেখানে চিকিৎসা করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে টাকা-পয়সার বিনিময়ে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের ম্যানেজ করে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, এটাই বাস্তব চিত্র।
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করায় তাঁদের জরিমানা করা হয়েছে। লাইসেন্স হাতে না পেয়ে হাসপাতাল পরিচালনার কোনো নিয়ম নেই।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা কবির বলেন, লাইসেন্স না থাকায় সিভিল সার্জন অফিস থেকে আমাদের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছিল। সেই তালিকার ভিত্তিতে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল মুখ খুলতে রাজি হননি।