বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী শুন্য, লঞ্চে ভরপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ২৫ মে,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১৯ এএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে গতকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এদিন ভোর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা লঞ্চে পার হতে শুরু করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) বাংলাবাজার ঘাট হয়ে ঢাকাসহ কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের ভীড় বাড়তে শুরু করে।
তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবারের চিত্র অনেকটাই আলাদা। এদিন সকাল থেকে ফেরিঘাট ও ফেরিগুলোতে কোন যাত্রী চাপ দেখা যায়নি। তবে উল্টো চিত্র লঞ্চগুলোতে। যাত্রী চাপ সামাল দিতে হিমশিম খায় বিআইডব্লিউটিএ।
জানা যায়, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভীড় বাড়তে থাকে। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় এদিন ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি। লঞ্চ চালু হওয়ায় লঞ্চে যাত্রী চাপ ছিল অনেক বেশি। যাত্রী চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে খালি লঞ্চ আনা হয়।
প্রতি ৫ মিনিটি পরপর এক একটি লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে বাংলাবাজার ঘাট ত্যাগ করে। সামাজিক দূরত্বের কারনে ভাড়া আদায় করা হয় ৫৫ টাকা। এদিকে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু করায় দৌরাত্ম কমেছে ২ চাকা বা ৩ চাকার যানবাহনের।
তবে নড়াইল, বরিশাল, খুলানাসহ দূর পাল্লার যানবাহনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও যানবাহনগুলো শতভাগ যাত্রী নিয়েই বাংলাবাজার ঘাটে আসে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। আর ভাড়াও বেশি আদায় করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮৬টি লঞ্চ রয়েছে। ৫ এপ্রিল থেকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল নৌরুটে। স্পিডবোট চলাচল বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও নিয়ম ভেঙে কিছু স্পিডবোট যাত্রী পারাপার করেছিল।
এরমধ্যে ৪ মে স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর নৌরুটে স্পিডবোট, ট্রলার চলাচল বন্ধ করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যায়। এরপর থেকে বন্ধ থাকে এসব নৌযানও।
বিআইডব্লিউটিএ বাংলাবাজার ঘাট ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। যাত্রীদের চাপও রয়েছে। যাত্রী চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে খালী লঞ্চ আনা হচ্ছে। আর প্রতিটি লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। মাক্স ছাড়া কোন যাত্রীকে লঞ্চে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।