আনোয়ারা কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে বজ্রপাতে ৪ শ্রমিক নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৫ পিএম, ২৪ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কক্সবাজারের মহেশখালী এবং কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতে চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল রবিবার (২৩ মে) রাতের বিভিন্ন সময়ে তারা বজ্রপাতে প্রাণ হারান।
আনোয়ারা থানার ওসি এসএম দিদারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বটতলী ইউনিয়নের পশ্চিম বরৈয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম ও মো. ইলিয়াস নামে দুই রাজমিস্ত্রি পার্শ্ববর্তী গহিরা গ্রাম থেকে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা ধানক্ষেতের মাঝ দিয়ে তৈরি কাঁচা রাস্তা ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার পরে থেকে পরিবারের সদস্যরা তাদের মোবাইল বন্ধ পান।
এরপর খুঁজ নিয়ে ভোররাতের দিকে গহিরা থেকে আসার কাঁচা রাস্তায় দুজনের লাশ পান। তারা দুজনেই বজ্রপাতে মারা গেছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনার পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হসন্তার করা হবে। কাশেমের শরীরের একপাশ পুড়ে গেছে, পুরো শরীর কালো হয়ে গেছে। আর ইলিয়াসের মুখ জ্বলে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়ও বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মহেশখালী উপজেলার নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটি ঘাট এবং কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশিখালী সিকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাগউড়া ইউনিয়নের হেমান্তগড় এলাকার মো. হেফাজতের ছেলে মোহাম্মদ জিলানী (২৭) ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশিখালী সিকদার পাড়ার বশির উল্লাহর ছেলে আব্দুর রহমান (৬৫)। এদের মধ্যে মোহাম্মদ জিলানী মহেশখালীতে নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিক অন্যজন লবণ শ্রমিক।
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানিয়েছেন, নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটি ঘাটে প্রতিদিনের মত কাজ করছিলেন ৪-৫ জন শ্রমিক। এ সময় আকস্মিক বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শ্রমিক আহত হন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য শ্রমিকরা তাদের উদ্ধার করে প্রকল্প এলাকায় স্থাপিত প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিলানীকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. জালাল উদ্দিন জানান, একই সময়ে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশিখালী ইউনিয়নের সিকদার পাড়ায় লবণ মাঠে কাজ করছিলেন ৩-৪ জন শ্রমিক। আকস্মিক বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনায় আব্দুর রহমান নামের এক লবণ শ্রমিক নিহত হন।