ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে গাদাগাদি করেই ফিরছে মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৮ এএম, ১৮ মে,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৪৯ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঈদ শেষে ঝুঁকি নিয়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। এতে প্রতিটি ফেরিতে রয়েছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
আজ সোমবার সকাল থেকে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। একইসঙ্গে এসব ফেরিতে জরুরি, যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন পার হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীদের ভিড়। তবে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আজও যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে ভেঙে ভেঙে। সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে করে তারা ঢাকায় ফিরছেন। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। সজিব নামের এক যাত্রী বলেন, ঈদ শেষে কাজে তো ফিরতেই হবে। করোনার ভয় করলে জীবন চলবে না। সাবিনা বেগম বলেন, একটি এনজিওতে কাজ করি। ছুটি শেষে এখন ফিরতে হবে। গণপরিবহন না থাকায় বিকল্প উপায়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হবে গন্তব্যে।
শিমুলিয়া ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, বাংলাবাজার ঘাট থেকে আজও প্রচুর যাত্রী এসেছেন ঘাটে। পাশাপাশি জরুরি ও ব্যক্তিগত গাড়িও পার করা হচ্ছে। সকাল থেকে নৌরুটে ১৮টি ফেরি চালু রয়েছে। এদিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরিযোগে দক্ষিণবঙ্গে যেতে দেখা গেছে কিছু যাত্রীকে। মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, নৌরুটে কোনও লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলছে না। সকাল থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় কোনও যান ফেরির অপেক্ষায় নেই।