রিমান্ড শেষে জেলহাজতে আকবর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৫ এএম, ১৮ নভেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:০৮ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি আকবর হোসেন ভুইয়াকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে আকবরকে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেমের আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়।
এ নিয়ে মামলায় মোট ৪ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই-এর তদন্ত কর্মকর্তা আওলাদ হোসাইন। এর আগে দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে নিয়ে যায় পিবিআই। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, আকবর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়নি। পিবিআই সিলেটের তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন হলে পুনরায় রিমান্ড আবেদন করবে বলেও জানান তারা।
গত ৯ নভেম্বর রায়হান হত্যার প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বহিষ্কৃত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ১০ নভেম্বর আকবরকে আদালতের তুলে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই।
৮ নভেম্বর গভীর রাতে ভারতের দনা সীমান্ত এলাকার খাসিয়াদের হেডম্যানরা রায়হান হত্যাকান্ডের অভিযুক্ত এসআই আকবরকে আটক করে তাদের হেফাজতে রাখে। পরে সোমবার দুপুর ১টার দিকে ভারতীয় খাসিয়ারা আকবরকে বাংলাদেশ সীমান্তে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীসহ লোকজনদের কাছে বুঝিয়ে দেন। পরে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের একটি টিম তাকে জনতার কাছ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে গুরুতর আহত হন রায়হান। তাকে ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহীসহ পুলিশ সদসরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।
ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, নগরের কাস্টঘরে গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সিলেট মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করেন।