মিতু হত্যা মামলায় স্বামী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৭ এএম, ১২ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:০৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পিবিআইয়ের উপমহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, বাবুল আক্তার মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এটাকে জিজ্ঞাসাবাদও বলা যেতে পারে।
মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমাসহ পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত স্বার্থে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখছেন পিবিআই। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিতু হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব আদালতের নির্দেশে পিবিআইকে দেয়া হয়। তার আগে মামলাটি তদন্ত করছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, বাবুল আগেও এখানে এসেছিলেন। আজও পিবিআইতে গেছেন তিনি। তাকে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ রয়েছে তাই এর থেকে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, পিবিআইয়ের নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হয়েছেন বাবুল আক্তার। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জানিয়েছেন, সে মামলার বাদি। আমরা মামলার তদন্ত করছি বিধায় মামলার অগ্রগতি জানার জন্য এসেছিলেন তিনি।প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরে জিইসি মোড়ের নিকট ওআর নিজাম সড়কে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। তাকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার মামলা করেন।
২৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয় ওয়াসিম ও আনোয়ারকে। তারা আদালতে জবানবন্দি দিলে বেরিয়ে আসে জড়িতদের তথ্য। তারা জানান, মুছার নেতৃত্বে ওয়াসিম, আনোয়ার, মো. রাশেদ, নবী, মো. শাহজাহান ও মো. কালু হত্যাকা-ে অংশ নেন। একই বছরের ৪ জুলাই রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হত্যাকা-ে জড়িত নবী ও রাশেদ নিহত হন। তবে এখনো মুছা ও কালুকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার দাবি করে আসছেন, ২০১৬ সালের ২২ জুন মুছাকে পুলিশ নগরের বন্দর এলাকায় এক আত্মীয় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে মুছার স্ত্রীর এই অভিযোগ।