নারায়ণগঞ্জের সরকারী দপ্তরে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিলেন গাজী গ্রুপ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৩ এএম, ১২ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৬ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ সরকারী দপ্তরগুলোতে করোনায় বিপর্যস্ত লোকদের পাশে থাকার জন্য ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন গাজী গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ’র হাতে এ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত মানুষের মানবিক সহায়তার জন্য তিনি এ অনুদান প্রদান করেছেন।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লার কাছে দশ লাখ টাকার চেক, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের কাছে ৫ লাখ টাকার চেক, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর কাছে ৫ লাখ টাকার চেক, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে ১০ লাখ টাকার চেক এবং তারাবো পৌরসভাকে ১৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) এর নির্দেশনায় এসব অর্থ প্রদান করেন তার ছেলে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই চেক তুলে দেওয়ার সময় গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য একটা সময় আমাদের ঢাকায় যেতে হতো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে তিনি আমাকে ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেন। আমরাই প্রথম রূপগঞ্জে বেসরকারি করোনা পরীক্ষা ল্যাব স্থাপন করেছি। গাজী পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা রিপোর্ট জানানোর চেষ্টা করছি।
গাজী গোলাম মর্তুজা বলেন, সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। করোনা সংকটের সময় সরকারের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা মনে করি, সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে পারলে পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে গাজী পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) জাতির একজন শ্রেষ্ঠ সন্তান। করোনা ভাইরাসে সারা বাংলাদেশ যখন এলোমেলো তখন আমাদের গাজী পিসিআর ল্যাব অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে। আমরা দ্রুত রোগী শনাক্ত করতে পারছি। অনেক মানুষের অনেক টাকা আছে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসে না। নিজের টাকায় গাজী পরিবার করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। আমাদের অনেক মেডিকেল সাপোর্ট দিয়েছে। এছাড়া টাকা অনুদানসহ নানা সরঞ্জামাদি দিয়ে সহযোগীতা করেছে। তার জন্য গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পাসহ গাজী পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা বর্তমানে অন্য যেকোনো জেলার তুলনায় ভালো আছি।