বরিশাল বিভাগের ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪৯ হাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ৭ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১৬ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এবারের ডায়রিয়া আক্রান্তের পরিমাণ অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এবং টিউবওয়েলের পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পরিস্কার পানির অভাবে ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের।
বৈশ্বিক মহামারী করোনায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা অনেক গুণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায়ও রোগীর জায়গা ছিলোনা। এ ভয়াবহ পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক হচ্ছে।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত বরিশালের ৬ জেলায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৯ হাজার। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিদিন ভোলা ও পটুয়াখালী জেলায় ৩ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হলেও সেই সংখ্যা এখন কমে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) বৃহস্পতিবার থেকে গত ২৪ ঘন্টায় পুরো বিভাগে ৬শ ৩৬ জন ডায়রিয়া রোগী আক্রান্ত হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬শ৯২ জন। পুরো বিভাগের ৪৮ হাজার ৮শ ৭৮ জন ডায়রিয়া রোগীর ভর্তির বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ৪৮ হাজার ৩৯ জন।
এ পর্যন্ত ১৭ জন ডায়রিয়া রোগীর মৃত্যু হয়েছে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায়। মৃত্যুর দিক থেকে পটুয়াখালীতে ৬ জন, বরিশালে ৫ জন, বরগুনায় ৪ জন ও ভোলায় ২ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ভোলা জেলায়। এ জেলায় ১২ হাজার ৫ শ ৯৭ জন রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৩ শ ৮৫ জন। ২য় আক্রান্তের জেলা পটুয়াখালীতে ১০ হাজার ৩শ ২৯ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ১শ ২৮ জন। বিভিন্ন জেলার তথ্যের ভিত্তিতে বরগুনায় ৭হাজার ৭শ ৩৪, বরিশালে ৬ হাজার ৫শ ৮৫, পিরোজপুরে ৬ হাজার ১শ ৬৫ ও সবচেয়ে কম আক্রান্তের জেলা ঝালকাঠিতে ৫ হাজার ৪শ ৬৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিল।
বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে বর্তমানে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই। গরম কমে যাওয়ায় ও বৃষ্টির কারনে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।