কুষ্টিয়ায় ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ৫ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অন্ত নেই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ইবি থানা এলাকার হরিনারায়নপুর বাজারে অবস্থিত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্বপন স্টোর এই এজেন্ট শাখার। অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবার নামে প্রতারণার সুচারু ফাঁদ পেতে রেখেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক এজেন্ট শাখাটি।
একে একে রেবিয়ে আসছে ব্যাংকটির প্রতারণার নানা তথ্য। গ্রাহকদের অভিযোগ, সেবার মান বাড়ানো ও সামাজিক দায়বদ্ধতার চেয়ে মুনাফা অর্জনই এদের একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা পাবেন এই আশা করে এই ব্যাংকে। সহজে তার লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন। কিন্তু এই সেবার মাধ্যমে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি অনেকটা অস্পষ্ট থাকছে গ্রাহকদের কাছে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাংকের থেকে বেশি ফি নেওয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত ভাবে ।
গ্রাহকদের অভিযোগ সব ধরনের সেবার ক্ষেত্রে চার্জ বেশি নেয় ডাচ বাংলা-ব্যাংক স্বপন স্টোর এর এই এজেন্ট ব্যাংকটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, হঠাৎ আমার এক আত্মীয়য়ের ৫০ হাজার টাকা পাঠানোর দরকার ছিল এবং আমি স্বপন স্টোর শাখায় টাকা পাঠাতে গেলে তিনি আমার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪০ টাকা চায় আমি দিতে দ্বিমত করলেও প্রয়োজন হওয়াতে ৩০ টাকা দেই।
জানা গেছে ১০ হাজার টাকা উঠাতে অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ টাকাও চার্জ দিতে হয়। যা ব্যক্তিগত ভাবে চলে যায় ডাচ বাংলা ব্যাংক স্বপন স্টোর এর এজেন্ট শাখার ম্যানেজার মদন পালের পকেটে। অথচ এই চার্জ নেয়ার কোন নিয়ম নাই।
জানা গেছে, ডাচ-বাংলার বেশির ভাগ গ্রাহক মধ্যবিত্ত ও ছাত্র। তাদের বেশির ভাগই নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি এড়াতে এই সেবা নিয়ে থাকেন। তাই কৌশলে অর্থ আদায়ের জন্য এই এজেন্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চার্জ ধার্য করে রেখেছে। কারণ এই এজেন্ট ব্যাংকের কতৃপক্ষ জানে আশেপাশে লেনদেন এর কোন মাধ্যম নাই তাই মানুষ বাধ্য এই অতিরিক্ত চার্জ দিতে।
আবার অভিযোগ আছে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকাও লেনদেন করতে সুযোগ বুঝে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্ত তুলনা করে দেখা গেছে, কোনো ব্যাংকেই এই পরিমাণ ফি নেই।
ইবি থানা এলাকায় ডাচ বাংলা ব্যাংক এর এজেন্ট শাখা কম থাকায় এবং ইবি থানা হরিনারায়নপুর বাজার একটি জনবহুল বাজার এর সুযোগে এই অনিয়ম বেছে নিয়েছে স্বপন স্টোর এর এই এজেন্ট শাখাটি। এই অনিয়মের ৮০% টাকা যায় মদন নামের এই এজেন্ট শাখার ম্যানেজার এর পকেটে।
এসব অনিয়মের ব্যাপারে ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট শাখার স্বপন স্টোর এর ম্যানেজার মদন পালের সাথে কথা বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন যদি কারো এই চার্জ এ পছন্দ নয় লেনদেন করবে না।
এই অনিয়মের বিষয়ে ডাচ বাংলা এই এজেন্ট ব্যাংকের মালিক স্বপন পাল এর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয় নি।
এই দিকে গ্রাহকের বক্তব্য হচ্ছে প্রয়োজন মাফিক নজরদারির মধ্যে না থাকার জন্যই দিনের পর দিন এই স্বপন স্টোর নামে ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকটি গ্রাহকদের সাথে এভাবে প্রতারণা ও ভোগান্তির সুযোগ পাচ্ছে।