নালিতাবাড়ীতে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ যেন দেখার কেউ নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০২ এএম, ৩ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫০ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলায় রমজানের শুরুতেই চড়ামূল্যে ওজন দরে মৌসুমী ফল তরমুজ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ।
এখানে প্রতিটি তরমুজের দাম বর্তমানে দ্বিগুণেরও বেশি। পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ওজনে বিক্রি করায় দোকানিরা দ্বিগুণ লাভবান হলেও ঠকছেন সাধারণ ক্রেতারা। গরম দিনে তৃষ্ণা মিটাতে ও শরীরকে একটু সতেজ করতে তরমুজের জুড়ি নেই। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ফলে রোজা রাখার পর ইফতারিতে তরমুজের চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে সহজলভ্য এ মৌসুমি ফলটি এখন সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।
জানা যায়, উপজেলা শহর ছাড়াও সর্বত্র এই প্রথম ওজনে তরমুজ বিক্রি হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। ১ কেজি তরমুজের দাম ৫০ টাকা হওয়ায় যেন দেখার কেউ নেই। অতিরিক্ত মূল্যে তরমুজ বিক্রির অভিযোগ উঠায় বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পৌরশহর সহ উপজেলার সর্বত্র প্রায় ফলের দোকানগুলোতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। এতে একটি বড় তরমুজের দাম দাঁড়াচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। অথচ এর আগে ৭/৮ কেজি ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি হয়েছে মাত্র ২০০/২৫০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসকে পুঁজি করে বেশি মুনাফার জন্য এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পিস হিসেবে তরমুজ কিনে তা কেজিতে বিক্রি করে সাধারণ ক্রেতাদের পকেট খালি করছেন।
তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে পাইকারী বাজারে তরমুজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরকেও বেশি দামে তরমুজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু তারা যে তরমুজ কেজি হিসেবে কিনেননি এটাও অকপটে স্বীকার করেছেন।
সরেজমিনে জানতে গেলে ক্রেতা এম সুরুজ্জামান এবং মশিউর রহমান এসাংবাদিককে জানান-শহরে এসেছিলাম তরমুজ কিনতে। কিন্তু ওজনে তরমুজ বিক্রি হয় এটা এবারই প্রথম শুনলাম। তিনি আরও জানান, তরমুজের কেজি ৫০ টাকা শুনে আর তরমুজ কেনার সাহস পাইনি।
উপজেলার কয়েকজন তরমুজ ব্যবসায়ী জানান, তারা তরমুজ কিনেছেন পিস হিসেবে। কিন্তু কেজি হিসেবে বিক্রি কেন? জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এব্যাপারে দ্রুত প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাধারণ ক্রেতা ও সচেতন মহল।