রাশিয়ান তেলের বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আপত্তি নেই : আমেরিকা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৪০ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৮ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ফেলছে না যুক্তরাষ্ট্র। একথা বলেছেন ইউরোপীয় ও ইউরেশীয় বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন ডনফ্রাইড। তিনি বলেন, ভারতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক সবচেয়ে সফল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে, উভয়ই আন্তর্জাতিক নিয়মের ওপর ভিত্তি করে আদেশ পালন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আঞ্চলিক অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি সম্পদ বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি জিওফারি পাইট যোগ করেছেন যে, রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপত্তি ছিল না। তবে আমরা এই ইস্যুতে যে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি তা আমাদের কাছে মূল্যবান।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, কীভাবে ইদানীং অধিকাংশ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অংশ হিসেবে উঠে এসেছে ‘জ্বালানি নিরাপত্তা’ ইস্যু। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। আমেরিকার মিত্র এবং সহযোগী পশ্চিমি দেশগুলো এই নিষেধাজ্ঞাকে মেনে নেয়। এই নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার তেলের চাহিদা কমিয়ে ব্যারেল প্রতি দাম কমিয়ে আনা। প্রবীণ মার্কিন কূটনীতিকরা রাশিয়ান তেলের ওপর আরোপিত মূল্যসীমা রক্ষা করেছেন এবং বলেছিলেন যে, এটি ভারতের কাছে সুযোগ ছিল একটি ভাল দাম নিয়ে আলোচনা করার। মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার রাজস্বকে সংকুচিত করা যারা ইউক্রেনের যুদ্ধে ইন্ধন জোগাচ্ছে। মার্কিন কূটনীতিকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তারা বিশ্বাস করেন এই নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের ওপর ভালোই প্রভাব ফেলছে। গত কয়েক মাস ধরে, ভারত আরও বেশি করে সস্তা রাশিয়ান তেল কিনছে এবং ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জ্বালানি হিসেবে তা পরিশোধন করছে। ভারতে পরিশোধিত জ্বালানিকে রাশিয়ান জ্বালানি বলে মনে করা হয় না।
নিউজ এজেন্সি ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, তথ্য গোয়েন্দা সংস্থা কেপলারের মতে, ভারত গত মাসে নিউইয়র্কে প্রতিদিন প্রায় ৮৯,০০০ ব্যারেল পেট্রল এবং ডিজেল পাঠিয়েছে, যা প্রায় চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, জানুয়ারিতে ইউরোপে দৈনিক নিম্ন-সালফার ডিজেল প্রবাহ ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার ব্যারেল, যা অক্টোবর ২০২১-এর থেকে সবচেয়ে বেশি।
সূত্র : এনডিটিভি