খোকসায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ট গ্রাহকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৭ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০৪ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
করোনাকালে কুষ্টিয়ার খোকসার জনগণের কাছে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল এখন নতুন আপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে? গত মাসের স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি বিল করা হয়েছে গ্রাহকদের অভিযোগ। আর ভুতুড়ে বিলের ব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিসের নানা অজুহাত। কিন্তু লকডাউন শেষ হলেও এর বৃত্ত থেকে এখনও বের হতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ।
প্রতি মাসেই একাধিক গ্রাহকের ভুতুড়ে বিল আসে বলে খবর পাওয়া যায়। অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিলের কারণে প্রায়ই হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা, অনেককেই আবার গুনতে হচ্ছে জরিমানাও।
ভুতুড়ে বিল আসা একজন গ্রাহক খোকসা পৌরসভার হেলাল প্রামানিক এটা সমন্বয় এর উপায় কি? জানতে চেয়ে আক্ষেপ করে ফেসবুকে পোষ্ট করে লিখেন- মার্চে মাসে বিদ্যুৎ বিল দিয়েছিলেন ১২৪৮ টাকা, অথচ এপ্রিলে আগের মাস গুলোর তুলনায় পরিমাণের চেয়ে সর্বোচ্চ হাজার গুণ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিল দিয়েছেন ৪২৫৩ টাকা।
তিনি আরও লিখেন, প্রতি গরমে আমার বাসায় মাস প্রতি বিল সর্বোচ্চ একবার বিল এসেছিল ১৬০০ টাকা, যেটিও ছিল অস্বাভাবিক। সাধারণত ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা দিয়ে এসেছি। শীতের দিনে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা। জানি না এবার কি হয়েছে।
তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন হয়তো বিদ্যুৎ বিভাগ বলবে, আমরা বিদ্যুৎ খেয়েছি বসে বসে! এ বিষয়ে হেলাল প্রামানিকের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমি অনেক দপ্তরে গিয়েছি। এত দুর্ব্যবহার মানুষ মানুষের সাথে করে আমার জানা ছিল না। শুধু আমি না আমার মত এমন অভিযোগ নিয়ে অনেক গিয়েছে তাদের সাথেও একই আচরণ করে ওই কর্মকর্তা।
বিলের কাগজ সঙ্গে নিয়ে নিকটস্থ দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা এ অবস্থায় এই গ্রাহকের।
এ ব্যাপারে খোকসা পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. ওমর আলীর মুঠোফোনে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রাহকরা বিদ্যুৎ না পুড়ালে এত বিল আসবে কেন?
তিনি আরও বলেন কেউ কেউ সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছে বলেই এত বিল আসছে। এই বেপারে কুষ্টিয়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের নজরে দিলে তিনি জানান তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।