তানোরে জনগণের পাশে নেই জনপ্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৭ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
রাজশাহীর তানোরে নোভেল করোনা ভাইরাস দুর্যোগে অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি সাধারণ জনগণের পাশে নাই। রাজশাহীর তানোরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। গণপরিবহণ ও বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হোটেল-রেস্তোরা। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের উর্পাজন প্রায় বন্ধ। ফলে করোনা আতঙ্কে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। অথচ এমন প্রতিকুল পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে এখানো সেভাবে দাঁড়ায়নি উপজেলার অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি। জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর পক্ষ থেকে তার প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না তাঁর বিশাল কর্মী বাহিনী দুর্যোগের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে রয়েছেন। তবে এবারের উদ্যোগ ব্যতিক্রম উপজেলা চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে যারা ম্যাসেজ দিচ্ছেন তাদের নাম ঠিকানা গোপণ রেখে তাদের কাছে খাবার পৌচ্ছে দিয়ে আসছেন চেয়ারম্যানের কর্মীরা। এসব খাবার বিতরণে কোনো ফটো তোলা বা ফেসবুক পোস্ট দেয়া হচ্ছে না, মানবতা ও মানব সেবার উদেশ্যে এসব সহায়তা। স্থানীয় সূত্র বলছে, তানোর পৌর এলাকায় উড়ে এসে জুড়ে বসা হঠাৎ আওয়ামী লীগের কিছু নেতা নিম্ন আয়ের এসব মানুষের মাঝে নামমাত্র ইফতার বা দুই টাকা মুল্যর মাস্ক বিতরণের ফটোসেশন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করতে ব্যস্ত রয়েছে যা কেবলমাত্র লোক দেখানো বৈ কিছু নয় বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
অধিকাংশক্ষেত্রে এসব নিম্ন আয়ের মানুষকে তারা তাদের প্রচার-প্রচারণার বস্তু হিসেবে ব্যবহার করছে যা অত্যন্ত অমানবিক বলেও আলোচনা রয়েছে। কিন্ত্ত এসব নিম্ন আয়ের মানুষের এখন বেশী প্রয়োজন চাল-ডাল-তৈল-আটা ইত্যাদি। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন
ভোটের সময় আপনারা যেমন সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়েছেন, এখন একই ভাবে তাদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান। কিন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন আহবানে এখানো সাড়া দিতে পারেনি তানোরের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি।
জানা গেছে,তানোরে দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ১ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান ২ জন, এছাড়াও উপজেলার দুটি পৌরসভায় ২ জন মেয়র, ১৮ জন কাউন্সিলর ও ৬ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রয়েছে। অন্যদিকে সাতটি ইউপিতে ৭ জন চেয়ারম্যান, ৬৩ জন সদস্য (মেম্বার) ও ২১ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য (মেম্বার) রয়েছে। এসব জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে কেবলমাত্র উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না রয়েছেন সাধারণ মানুষের পাশে। অন্যদিকে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও মাঠে রয়েছেন মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান ও বাঁধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। সচেতন মহলের ভাষ্য, করোনা দুর্যোগে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি যদি এই বিপুল সংখ্যক জনপ্রতিনিধিগণ
নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যে-সহায়তা করার পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য প্রচার-প্রচারণা করতেন তাহলে কর্মহীন সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজেই এমন দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব ছিল।