না’গঞ্জ ডিবি পুলিশের সোর্স ও বন্ধু পরিচয়ে বাবু বিশু এবং মিশু চক্রের চাঁদাবাজি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৫ এএম, ২২ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৯ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়ে আবারও নারায়ণগঞ্জ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মোফাজ্জল হোসেন ওরফে বিশু ও হোসেন প্রধান মিশু ও বাবু চক্র। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও মাদক ব্যবসা, চোরা কারবারীদের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও কথিত সাংবাদিক সাইফুল আলম বাবু নিজেকে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জায়েদ চৌধুরীর পারভেজের বন্ধু পরিচয়ে বিশু ও মিশুকে নিয়ে জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ডিবি, সিাআইডি ও সিদ্ধিগঞ্জ থানার ওসির নামে মাসোয়ারার টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন স্থানে সাধারণ সানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ ছিলো তার বিরুদ্ধে বহু পুরনো। চোরাই তেল ও মাদক ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া ডিবি ও থানা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মাসোয়ারা উঠাতেন তিনি। এরমধ্যে একাধিকবার পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে এসপি হারুন থাকতে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে।
সূত্র জানায়, জেল থেকে বের হয়ে বর্তমান এসপি আসার পর দীর্ঘদিন বিতর্কিত চাঁদাবাজি থেকে চক্রটি বিরত থাকলেও সম্প্রতি আবারও পূবের্র মত বেপরোয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। পুলিশের নাম ভাঙিয়ে জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হয়রানিও শুরু করেছেন। এই বিশু ও মিশু চক্রের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের একজন পুলিশ সোর্স ও নিষিদ্ধ পত্রিকার কথিত সাংবাদিক নামধারি সাইফুল আলম বাবু ও মুন্না এ চক্রের অন্যতম প্রতারক বলে জানা গেছে। কথিত সাংবাদিক সাইফুল বিগত ৩ মাস আগেও আদমজী ইপিজেডে সিকিউরিট গার্ডের চাকরি করলেও বর্তমানে সে নিজেকে সাংবাদিক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বন্ধু পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হয়রানী করছে। সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যবসায়ী এমদাদ, ইউনুছ, মনির ও হান্নানের কাছ থেকে ডিবি সিাইডি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির নামে মাসোয়ারার টাকা আদায় করে নিয়েছে উল্লেখিত চক্রটি। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, টাকা দিতে না চাইলে অভিযানের ভয় দেখিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানীর হুমকি দেয়। পুলিশী হয়রানী থেকে বাঁচার জন্য বাধ্য হয়ে কথিত এই সোর্সদের টাকা দেই।
সূত্র জানায়, বর্তমান পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম এখানে আসার পর থেকেই সোর্সের অপকর্মের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। এ কারণে এ চক্রটি অপকর্মের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার সাহস দেখায়নি এতদিন। তবে, বর্তমানে এ চক্রটি আবারও আগের মত অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন জ্বালানী তেলের ব্যবসায়ী, ভাঙ্গারী, বেকারী, মাদকসহ বিভিন্ন মানুষকে হুমকি ধামকি দেওয়া থেকে শুরু করে পুলিশ ও সিআইডির নামে ভয় ভীতিও দেখিয়ে মাসোয়ারার টাকা আদায় কওে নিচ্ছে। এতে করে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সূত্রটি আরো জানায়, এ চক্রটি নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসা বাণিজ্য না করেও অঢেল টাকার মালিক। শহরে করেছেন বহুতল ভবন। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে এবং ভয় ভীতি দেখিয়েই অর্থ রোজগার করা তার অন্যতম পেশা। তার বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে পুলিশের আরও দুর্নাম রটাবে। চক্রটি জেলার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিবির ওসি এনামুল কবিরের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব অপর্কম করে যাচ্ছে বিগত ৪ মাস যাবত। এ চক্রটি বর্তমানে তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। চক্রটি প্রতি মাসে ডিবি, সিআইডি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নামে কমপক্ষে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জায়েদ চৌধুরী জানান, এ নামে আমার কোন বন্ধু নেই। তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার জন্য তিনি বলেন। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেন। এদেরকে গ্রেফতারের দাবি করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।