ঝালকাঠিতে ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি, স্যালাইন সংকট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫৮ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
করোনা মহামারির ২য় ঢেউ মোকাবেলার সাথে ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ে বিপাকে জেলা ও উপজেলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঝালকাঠির বিভিন্ন উপজেলায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একমাসে জেলায় ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ১ শত ২৫ জন। গত এক সপ্তাহে ভর্তি ১ হাজার ১ শত ৩১ জন। সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর শয্যা ১৩ টি হলেও বারান্দায়ও জায়গা খালি নেই। ২৫ বছরেও এতো রোগী ভর্তি দেখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা সদর নলছিটির অবস্থাও ভয়াবহ। নলছিটি হাসপাতালে ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিলে তাদের চিকিৎসা করতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। স্যালাইন সংকট নিয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার মুনিবুর রহমান জুয়েল তার ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে পোস্ট দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃকর্মকর্তা ডাঃ শিউলি পারভীনের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র বরাবর আবেদন জানালে নলছিটি পৌরসভার মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খান জরুরি ভিত্তিতে ৭২৭ ব্যাগ আইভি স্যালাইন পাঠান হাসপাতালে। গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার জন্য আরো ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন পৌরমেয়র।
উপজেলা চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান ও নির্বাহী অফিসার রুম্পা সিকদার ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। হাসপাতালে ডায়রিয়া স্যালাইন সংকটের কথা জানতে পেরে ঝালকাঠি -২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ২০০০ ব্যাগ স্যালাইন প্রদান করেন। এর মধ্যে ১ হাজার ব্যাগ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জন্য।
নলছিটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহফুজ খান ১ লিটারের ১ হাজার ব্যাগ, ব্যবসায়ী কাজী আলমগীর হোসেন ৫০০ মিলির ৩০০ ব্যাগ ও ঢাকাস্থ ছাত্র কল্যান সমিতির সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিজান ২৫০ ব্যাগ৷ ডায়রিয়া স্যালাইন প্রদান করেন।