ফলের লাগামহীন দাম, দিশাহারা নিম্ন আয়ের মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫৪ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
মৌলভীবাজারে ফলের বাজারে লাগামহীন দাম, যা নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। একদিকে সংক্রমণ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সরকার কর্তৃক লকডাউন, অন্য দিকে মাহে রমজান, এই দুইয়ের মধ্যেই বেড়েছে ফলের দাম।
ফল উচ্চবিত্ত শ্রেণীর খাবার হলেও পবিত্র রমজান মাসে, ধনী-গরীব সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সারাদিন রোজা শেষে ইফতারের সময় একটু ফল ভোজন করেন। তাই রমজান মাসে সারা বছরের তুলনায় ফলের বেচা- কেনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে ফলের সংকট তৈরি করে ফলের দাম বাড়িয়ে দেয় যা নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর, ও আদমপুরের ফলের বাজার গুলোতে বেড়েছে ফলের দাম যা সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে।
পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ইফতারির পর ফল খেলে শরীরের ক্যালরি সৃষ্টি হয় এবং শরীরের দুর্বলতা অনেকটাই কেটে যায়, তাই রমজান মাসে ইফতারের পরে ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও উচ্চ মূল্যের কারনে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ পক্ষে এখন ফল খাওয়া কেবল বিলাসিতা করা।
বহি বিশ্বে পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য পণ্যের মূল্য নিম্নমূখি হলেও আমাদের দেশে তার ব্যতিক্রম। যেখানে রমজানের আগে প্রতি কেজি আপেলের দাম ছিলো ১৩০ ও ১৫০ যা এখন ১৬০-১৮০ টাকা। মালটা প্রতি পৃর্বে ছিলো ১৪০ টাকা, বর্তমানে তা ১৬০ টাকা, আঙ্গুর প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা, কমলা বাজারে ঘাটতি থাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, সবচেয়ে বেড়েছে তরমুজের দাম। বাজারে ২০০ টাকার নিচে কোন তরমুজ নেই। প্রতি পিস তরমুজ ২০০ টাকা থেকে সর্বচ্চো ৫০০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সেই সাথে বেড়েছে ইফতারের অতি মূল্যবান ফল খেজুর ১৭০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এসব খেজুর।
স্থানীয় কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন ব্যবসায়ীরা যাতে স্বইচ্ছায় উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি করতে না পারে সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে বাজারে নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক এর সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।