রৌমারীতে বড়াইবাড়ী দিবস পালিত, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চায় এলাকাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩৭ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংঘর্ষের ২০তম দিবস পালিত হয়েছে।
আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বড়াইবাড়ী ক্যাম্প সংলগ্ন শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, বিশেষ অতিথি রৌমারী প্রেসক্লাব সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা, বড়াইবাড়ী ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুস সবুর, রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল হক মন্ডল, রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সহকারী অধ্যপক মোকলেছুর রহমান, রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আব্দুল আজিজ, যুদ্ধে অংশকারী জনতা ডা.সাইফুল ইসলাম লালসহ শহিদ পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী।
আলোচনা সভায় বক্তারা দ্রুত বড়াইবাড়ী দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও যুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সনদ প্রদানের জোর দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভোররাতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ বাংলাদেশি সীমান্তে অনাধিকার প্রবেশ করে বড়াইবাড়ী গ্রামের ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা চালায় ও বাড়িঘর নির্বিচারে জ্বালিয়ে দেয়। ওই দিন হামলার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিল বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি)-জনতা। আর সেই প্রতিরোধে বিএসএফের ১৬ জনের লাশ ফেলে পালিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা। শহীদ হয়েছিল ৩৩ রাইফেলস্ ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস্ ব্যাটালিয়নের সিপাহী আব্দুল কাদের।
এছাড়া আহত হয় বিডিআরের হাবিলদার আব্দুল গনি, নায়েক নজরুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক আবু বকর সিদ্দিক, সিপাহি হাবিবুর রহমান ও সিপাহি জাহিদুর নবী। বিডিআর গ্রামবাসীর পাল্টা আক্রমণে বিএসএফের ১৬ জোয়ান নিহত হয়। বিএসএফের তান্ডবে পুড়ে ছাই হয়েছিল বড়াইবাড়ী গ্রামের ৮৯টি বাড়ি। সরকারি হিসেবে মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৭২ লাখ টাকা।