উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি শায়েস্তাগঞ্জের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ১৫ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১৬ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
শায়েস্তাগঞ্জ থানার একমাত্র উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি আজও। দক্ষিণ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার একমাত্র উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জে ১৯৫৪ সালে ৮৯ শতক জমির উপর টিনের তৈরি এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।
৫৯ বছরের পুরানো এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখনো। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বহুতল ভবন নির্মাণ করার জমি থাকার পরেও বিভিন্ন কারণে তা নির্মাণ হচ্ছে না। এর চারপাশে প্রচুর খালি জায়গা ও পুকুর থাকার পরেও এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আজো উন্নয়নের মুখ দেখতে পারেনি।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার নুরপুর, নিজামপুর, লস্করপুর ইউনিয়নসহ ও পৌর সভার হাজার হাজার লোকজনেরা উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই লোকদের বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে হবিগঞ্জ হাসপাতালে। ১৯৯৮ সালে শায়েস্তাগঞ্জকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হলেও ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি উন্নয়ন হয়নি। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির রয়েছে নানান সমস্যা।
একজন মেডিক্যাল অফিসার, একজন এমএলএস ও একজন সহকারী দিয়ে চলছে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। এতে চিকিৎসা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে রোগীদের যেতে হয় হবিগঞ্জ, সিলেট অথবা ঢাকায়। হবিগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান শায়েস্তাগঞ্জ শহর।
শায়েস্তাগঞ্জ শহর উপর দিয়ে চলে গেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও রেলপথ। শায়েস্তাগঞ্জ শহরটি সিলেটের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ার কারণে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শায়েস্তাগঞ্জ পৌর সভার সার্বিক উন্নয়ন হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।
পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দেউন্দি সড়কের পাশে এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ২০ শয্যায় আধুনিক হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করলে শায়েস্তাগঞ্জ সহ তার পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারণ সহজে উন্নত চিকিৎসা পেতে পারে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি রোগী চিকিৎসা দেওয়ার মত কোন সুবিধা নেই। একজন ডাক্তার, একজন সহকারী, একজন এমএলএস ও একটি বেড রয়েছে। এই হাসপাতালে ঔষধ রাখার কোন ব্যবস্থা নেই। নেই তেমন কোন ঔষধ পত্র।
স্থানীয়রা জানান অনেক সময় ডাক্তার না থাকলে রোগী নিয়ে অনেকেরই বিপাকে পড়তে হয়। রাতে অসুস্থ্য রোগীদের নিয়ে যেতে হয় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে। হাসপাতালের কোন ভবন না থাকায় রোগীরা ঠিকমত সেবা নিতে পারছেন না।
উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে যদি আধুনিক হাসপাতালে পরিণত করা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ সু-চিকিৎসা সুযোগ পবে বলে পাবে এই দাবী করেছে এলাকাবাসী।