করোনায় প্রাথমিকের ডিজিসহ ঝিনাইদহে দুই জনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৯ পিএম, ১৪ এপ্রিল,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৪ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজ বুধবার হাওয়াতুন নেছা (৫৭) নামে এক নারী ও প্রফেসর আব্দুল লতিফ (৭৭) নামে এক শিক্ষাবিদের মৃত্যু হয়েছে।
হাওয়াতুন নেছা হরিণাকুন্ডু উপজেলার হামিরাটি চাঁদপুর গ্রামের আনসার আলী কটার স্ত্রী। ৬ দিন আগে হাওয়াতুন নেছার স্বামী আনসার আলী করোনায় মারা যান। এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর আব্দুল লতিফ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
তিনি জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের মান্দিয়া গ্রামের শামুছুদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে। প্রফেসর আব্দুল লতিফ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান এ তথ্য জানান।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে এই নিয়ে ঝিনাইদহে স্বামী-স্ত্রী ও মা মেয়েসহ ১০ জনের মৃত্যু হলো। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট সুত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাওয়াতুন নেছা সদর হাসপাতালে মঙ্গলবার ভর্তি হন। বুধবার ভোর ৫টার তিনি মারা যান।
ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটির সদস্য মাওঃ শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে হাওয়াতুন নেছার মৃতদেহ বুধবার দুপুরে হামিরহাটি গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান জানান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাথিমিক ও গনশিক্ষা বিভাগের ডিজি আব্দুল লতিফ করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ মার্চ ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান। বাদ মাগরিব প্রফেসর আব্দুল লতিফের মৃতদেহ মান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পবহাটী গ্রামের আফরোজা বেগম, একই গ্রামের লিলি বেগম, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের যদুড়িয়া গ্রামের রিনা বেগম, হামিরহাটী চাঁদপুরের আনসার আলী মন্ডল কটা, কালীগঞ্জের আইনজীবী আশরাফুজ্জামান, কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও তার মেয়ে সালমা আক্তার মুন্নি এবং শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের দরবার আলী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটি করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ৭৪ জনের লাশ দাফন করেছে।