আড়াইহাজারে সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে জিম্মি ক্রেতা-বিক্রেতা ও দলিল লেখকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৪ পিএম, ১৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৩১ এএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় সাব-রেজিষ্ট্রারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাসহ স্থানীয় দলিল লেখকরা।
অভিযোগ উঠেছে, নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসেন না সাব-রেজিষ্ট্রার কাউসার খান। প্রায় সময় বেলা গড়িয়ে দুপুর ২টার দিকে তিনি অফিসে উপস্থিত হন। এর পর তিনি নিজের ব্যক্তিগত কক্ষে বিশ্রাম নেন।
তৎক্ষণে তার জন্য শতশত দলিল লিখক ও জমির ক্রেতা-বিক্রেতা অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকেন। সময় মতো জমির রেজিষ্ট্রি করতে না পেরে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা চরম ভোগান্তিতে পরেছেন। নিয়মিত এমন চিত্র আড়াইহাজার উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে।
স্থানীয় দলিল লেখক ও জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে আশা অনেকেই জানান, সাব-রেজিষ্ট্রার সময় মতো একদিনও অফিসে আসেন না। বেলা গড়িয়ে দুপুর ২টার দিকে তিনি অফিসে আসেন। এর পর র্দীঘ সময় তিনি তার ব্যক্তিগত কক্ষে বিশ্রাম নেন। এতে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতারা সময় মতো দলিল রেজিষ্ট্রি করাতে পারছে না।
জমি বিক্রি করতে আসা ভুক্তভোগী এক বৃদ্ধা আমেনা বেগমের অভিযোগ, তিনদিন ধরে তিনি জমি রেজিষ্ট্রি করাতে আসেন। ২০ থেকে ২৫টি দলিল রেজিষ্ট্রি করার পর সাব-রেজিষ্ট্রার হঠাৎ এজলাস ছেড়ে চলে যান। এতে তার জমি রেজিষ্ট্রি করাতে পারছে না। তার সঙ্গে প্রতিদিনই এমন ঘটনা ঘটছে। এতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ভুক্তভোগী দলিল লেখকদের অভিযোগ, বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে সাব-রেজিষ্ট্রিার জমির রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছেন। চুক্তি মোতাবেক রাজি না হলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে দলিল রেজিষ্ট্রি না করে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
তারা আরও জানান, সাব-রেজিষ্ট্রার কাউসার খান সঠিক সময় অফিসে আসে না। সকাল ১০টায় অফিসে আসার নিয়ম থাকলেও তিনি আসেন দুপুর ২টার দিকে। অফিসে এসে তার ব্যক্তিগত কক্ষে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম করেন। তৎক্ষণে অফিসে শত শত দলিল লেখক ও জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা তার অপেক্ষার থাকেন।
এক পর্যায়ে তিনি এজলাসে বসে তার নিয়োজিত লোকজন চুক্তি মাধ্যমে তৈরী করা কিছু দলিল রেজিষ্ট্রি করে হঠাৎ চলে যান।
অনেকের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র দাখিল করার পরও বিশেষ সুবিধা না পেলে তিনি দলিল রেজিষ্ট্রি করেন না। এতে কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। এতে জমি ক্রয়-বিক্রয়ে চরমভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতির মুখে পড়ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ।