রৌমারীতে টাকার বিনিময়ে তুলতে হয় ভিজিডির চাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ১৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২১ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে খাদ্যবান্ধব ভিজিডি কর্মসূচীর আওতাভুক্ত সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অভিযোগ রয়েছে, টাকা না দিলে চাল ও কার্ড আটকে রাখে সংশ্লিষ্টরা।
রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নে মোট ৭৪৪ জন ভিজিডি সুবিধাভোগী রয়েছেন। প্রতিজন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে প্রতি মাসে চাল বিতরণকালে জনপ্রতি ৩০টাকা করে নিলে প্রতি মাসে মোট ২২হাজার ৩২০টাকা আদায় করে নেয় ইউনিয়ন পরিষদ। যদি কেউ নির্ধারিত টাকা দিতে না পারে তাহলে তার চাল ও কার্ড আটকে রাখা হয়।
ভিজিডি কর্মসূচীর আওতায় সুবিধাভোগী আ. সালাম, শাহানাজ, শেফালী খাতুনসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, করোনাকালীন সময়ে তদের হাতে কোনো টাকা পয়সা না থাকলেও ভিজিডির চাল নিতে ৩০টাকা করে দিতে বাধ্য করে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ কতৃপক্ষ। টাকা দিলে চাল দেয় আর না দিলে চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) কার্ড ও চাল আটকে রাখে।
রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সহদেব কুমার সিংহ জানান, “ ইউনিয়ন পরিষদে যোগদানের করে দেখি এভাবেই টাকা আদায় করা হয়।”
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সংস্কার কাজ, পরিবহণ ও চা চক্রের খরচ বাবদ ১০টাকা করে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু মেম্বাররা তা না মেনে ৩০টাকা করে নিচ্ছেন। আর টাকা নেওয়া হবে না বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, “সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। এমন আইন পরিপন্থি কাজ করতে চেয়ারম্যানকে নিষেধ করা হয়েছে।”