কমলগঞ্জে আঙ্গুরের মতো চেরি জাতের টমেটো চাষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১২ এপ্রিল,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৭ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
শীত প্রধান দেশের আঙ্গুরের মতো চেরি টমেটো এখন বাংলাদেশে চাষ করা হচ্ছে। ম্যাগলিয়া রোসা নামের এই চেরি টমেটোর পুষ্টিগুন অনেক বেশি। দেশের বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশে এই চেরি টমেটোর পরিক্ষামূলক চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।
সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ও শমশেরনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে প্রথম বারের মতো এই চেরি জাতের টমেটো চাষ করা হয়েছে।
কৃষক সুজিৎ দেবনাথের সহধর্মিণী আরতি নাথ এর সাথে আলাপ করে জানা যায় সূচনা প্রকল্প থেকে ৫০টি চেরি টমেটোর চারা দেওয়া হয়েছিলো, সেই চারা থেকে তিনি প্রথম বারের মতো চেরি টমেটো চাষ করছেন।
তিনি প্রতিবছর টমেটো চাষ করেন কিন্তু পূর্বে এই চেরি টমেটো দেখেননি এবং চাষও করেননি, এটি তার প্রথম চেরি টমেটো চাষ।
প্রতি কেজি চেরি টমেটো ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন এবং এখন ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। কৃষাণী আরতি নাথ জানান এই টমেটো গ্রামের সাধারন মানুষ চেনেনা বিধায় সস্তায় বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে সূচনার কারিগরী সহায়তায়কারী কামরুল ইসলাম বলেন সুচনার সদস্য আরতি নাথকে বগুড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫০ টি চেরি জাতের টমেটোর চারা দেওয়া হয়েছে।
এই টমেটো কমলগঞ্জে প্রথমবার চাষ হয়েছে এই জাতের টমেটোর পুষ্টিগুন দেশি টমেটো থেকে বহুগুণে বেশি, চেরি টমেটো কমলগঞ্জে পরিচিতি করার পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে চাষ করার উদ্দেশ্যেই মূলত এই প্রদর্শনী করা হয়েছে।
চেরি টমেটো দেখতে আকারে ছোট এবং ছোট অবস্থায় পেকে যায়, যা অনেকটা আঙ্গুর ফলের মতো। চেরি টমেটো গাছে আঙ্গুরের মতো থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে, হঠাৎ কেউ দেখলে আঙ্গুর ফল মনে করবে।
উচ্চ ফলনশীল চেরি টমেটো স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগুন অনেক বেশি। চেরি টমেটো দীর্ঘ সময় ঠিকে থাকতে পারে এবং সহজে পচে না। দেশি টমেটোর মতোই চেরি টমেটো দিয়ে কাঁচা সালাদ ও রান্না করে খেতে পারেন। ঢাকার সুপারসপ গুলোতে বিদেশ থেকে আমদানি করা চেরি টমেটোর ৫০০- ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন জানান কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও আদমপুর ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো চেরি টমেটো চাষ করা হয়েছে। আগামীতে কমলগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আগ্রহী কৃষকদের চেরি জাতের টমেটো চাষ করার জন্য সহযোগিতা করা হবে। তবে এই চেরি জাতের টমেটো চাষের আগে কৃষকদের মুনাফার কথা চিন্তা করতে হবে কারন চেরি টমেটো পুরনো হলেও কমলগঞ্জ উপজেলার জন্য এটি নতুন জাত,বাজারে পরিচিত না হলে বিক্রি কমে যাবে। তাই কৃষকদের মুনাফা ও বাজার জাতের বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে প্রর্দশনীর করতে হবে।
তিনি আরোও বলেন চেরি জাতের টমেটোতে পুষ্টিগুন অনেক বেশি, বড় বড় শহরে উচ্চ ফলনশীল এ চেরি টমেটোর মূল্য অনেক বেশি। আগামী বছর কমলগঞ্জে চেরি টমেটো চাষের জন্য আগ্রহী কৃষকদের সহযোগীতা করা হবে।