অক্সিজেনের অভাবে মারা গেলেন সাইফুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৭ এএম, ৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫২ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
রাজধানীর মিটফোর্ডে এভার হেলথ হসপিটালের আইসিইউতে অক্সিজেনের অভাবে করোনা আক্রান্ত জাপানি ফার্মের সিনিয়র ম্যানেজার কাজী সাইফুল ইসলাম (৫০) মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি মারা যান। এ অভিযোগ করেন তার ছোটভাই কাজী শহীদুল ইসলাম পল্টু। আইসিইউর নামে ওই হাসপাতালে রোগীদের জিম্মি করে বাণিজ্য চলছে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনার পরপরই ওই হাসপাতালের মালিক ডা. মোশাররফ হোসেন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির বাসিন্দা কাজী শহীদুল ইসলাম পল্টু বলেন, গত ১৩ দিনে আগে আমার ভাই সাইফুল ইসলাম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করি। ৫ দিন আগে তার অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। কিন্তু সেখানে আইসিইউ বেড খালি না থাকায় আমরা তাকে পুরান ঢাকার মিটফোর্ডের এভার হেলথ হসপিটালের আইসিইউতে ভর্তি করি। এরপর আমার ভাইয়ের অবস্থার উন্নতি হয়। তার অক্সিজেন লেভেল ৯৫-৯৬ ছিল। কিন্তু আজ সকালে গিয়ে দেখি আমার ভাই অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করছেন। দ্রুত দায়িত্বরত চিকিৎসককে জানালে তারা বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার শেষ হয়ে গেছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার আসলে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হবে। এর ১০ মিনিটের মধ্যেই আমার ভাই মারা যান।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে পল্টু বলেন, এভার হেলথ হাসপাতালে আইসিইউর নামে বাণিজ্য চলছে। আমাদের কাছ থেকে প্রতিদিনই ৪০-৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। ৫ দিনে ২ লাখ টাকা বিল করেছে। প্রতিদিন সকাল হলেই ওষুধপত্রের নাম করে টাকা জমা দেয়ার জন্য চাপ দিতো। অথচ আইসিইউ বেড বানালেও তাদের পর্যাপ্ত অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থা নেই। শুধু মাত্র অক্সিজেনের অভাবে আমার ভাইটা মারা গেছে। এখন এর দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না। এ ঘটনার পরপরই হাসপাতালের মালিক ডা. মোশাররফ হোসেন পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, এই হাসপাতালে আসলে দেখতে পারবেন মানুষের আর্তনাদ আর আহাজারি। প্রতিটি রোগীকে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছে। অথচ তাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই।