পাঁচবিবি রেলষ্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতীর উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫১ পিএম, ৪ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৩৯ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার পালা শেষ হয়ে আজ রবিবার ৪ এপ্রিল সকালে রাজশাহী হতে ছেড়ে আসা চিলাহাটি গামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন এর যাত্রা বিরতী শুরু হলো।
সর্বশেষ পাঁচবিবিতে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতী বাস্তবায়নের জন্য আহব্বায়ক কমিটির ব্যানারে সাবেক ছাত্রনেতা, শিক্ষক ফরহাদ আলম জুয়েলের নেতৃত্বে আন্দোলন ও আবেদন করে আসছিলেন।
এ আন্দোলনে পাঁচবিবি বিভিন্ন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব রাজনৈতিক মহল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সাংবাদিক মহল সমপৃক্ত হয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, রাজশাহীগামী বরেন্দ্র, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস যাত্র বিরতী কার্যকর হয়েছে।
সর্বশেষ রাজশাহীগামী তিতুমীল এক্সপ্রেস এর যাত্রবিরতি শুরু হলো। তিতুমীরের যাত্রা বিরতীর কার্যকর হওয়ার সংবাদ পেয়ে যাত্রাবিরতী আন্দোলনের আহব্বায়ক ফরহাদ আলম জুয়েলের নেতৃত্বে ষ্টেশন চত্ত্বরে এক সংবর্ধনা আয়োজন আয়জন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শ্যামল কুন্ডু। অন্ষ্ঠুানে যোগ দেন রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের অডিট কর্মকর্তা পাঁচবিবির কৃতি সন্তান গোলাম রাব্বানী বাবু, তিনি আগামীদিনে অন্যান্য আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতীর জন্য রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মোটোফোনে শুভেচ্ছা জানান পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব। বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমিনুল হক বাবুল, বালিঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী বিপ্লব, বিশিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুনছুর রহমান মন্ডল, আওয়ামীলীগ নেতা দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম, সুভাস চন্দ্র দাস, প্রভাষক শাহ জাহান আলী, ছাত্র নেতা নুহু, ব্যবসায়ী গোলাম নবী প্রমূখ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রথম দিনের যাত্রী, ট্রেনের ড্রাইভার ও পরিচালকসহ রেল কর্মকর্তাদের কে মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
পাঁচবিবি রেল ষ্টেশনে গুরুত্ব উল্লেখ করে সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতীর জন্য পাঁচবিবি শিক্ষার্থী সমিতিসহ বিভিন্ন মহল থেকে বহুদিন ধরে দাবি করে আসছিলো।
উল্লেখ্য ঐতিহ্যবাহি পাঁচবিবি রেল ষ্টেশনে ৫টি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রবিরতী হলেও টিকিট ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কম্পিউটারাইজ সিস্টেম চালু নেই। ফলে প্রতিনিয়তই কালোবাজারিদের হাতে টিকিট চলে যাচ্ছে।
যাত্রীদেরকে কালোবাজারি নিকট থেকে বেশি দামে টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে। কেউ কেউ বেশি টাকা খরচ করে অন্য ষ্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করছে।
এ বিষয়ে ষ্টেশন মাস্টার আব্দুল আওয়াল জানান। কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারম্যান পোষ্টিং দিলেই অনলাইন সিস্টেম কার্যকর হবে।