পাঁচবিবিতে বালুদস্যুর তান্ডব, ফসলী জমি বিলীন, রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১২ পিএম, ১ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:০১ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জয়পুরহাটর পাঁচবিবি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীতে বালু দস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিন বালু দস্যুদের তান্ডবে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকের তিন ফসলী জমি ও রাস্তাঘাট।
পাঁচবিবি উপজেলায় খোকন মিয়া সহ বেশ কয়েকজন বালুদস্যু রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম বালু সন্ত্রাসী উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের খোকন মিঞা। এই বালুদস্যু দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে পাঁচবিবি উপজেলার ধরনঞ্জী ইউনিয়নের বাগুয়ান এলাকায় ছোট যমুনা নদীতে নিষিদ্ধ ও অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রায় শত ফুট গভীরতা সৃষ্টি করে বালু উত্তোলন করছে।
ফলে নদীরপাড় সংলগ্ন শত শত বিঘা তিন ফসলী আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অপরদিকে বালু বহনের শত শত ট্রাক্টর যাতায়াত করায় রাস্তাঘাটেরও ব্যপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। খানাখন্দকে ভরে গেছে রাস্তাঘাট। নদীর দুই তীরে ব্যাপক ভাঙ্গনের ফলে বড় বড় জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
বালু বানিজ্য করে খোকন মিঞা ও তার সহযোগীরা শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গেছে। তাদের বেপরোয়া আচরণ এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
এব্যাপারে বালুদস্যু খোকন মিঞার সাথে বেপরোয়া বালু উত্তোলনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নদী সংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তি মালিকানা জমি ক্রয় করে বালু উত্তোলন করি। আমি সরকারি ভাবে কোনো বালুরঘাট কিংবা নদী ইজারা নেয়নি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: বরমান হোসেনের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি শুনেছি। তারা কিভাবে বালু তুলছে, নদীর ঘাট কিংবা সরকারি জমি ইজারা নিয়েছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে খুব দ্রুততার সাথে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।