বিএনপি হলো সরকারের এক নাম্বার টার্গেট - এডঃ তৈমুর আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৪ পিএম, ৩১ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪৪ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
সরকার নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিকে হয়রানী করার জন্য এ নাটক করা হয়েছে। বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল না। এ ব্যাপারে (হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতাল) বিএনপির কোন দিক নির্দেশনা ছিল না। আর আমি আহবায়ক হিসেবে জেলারও কোন নির্দেশনা ছিল না। এটা সরকারের একটি সাজানো নাটক। বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার
আজ বুধবার নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের ডাকা হরতালের সময়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা প্রসঙ্গে তিনি এসব বলেন।
তাহলে সংঘর্ষ কাদের সঙ্গে হয়েছে?। তিনি বলেন, এটা সরকার দলের সৃষ্ট সংঘর্ষ। সরকারী দল এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। মহাসড়কে একের পর এক গাড়ী পুড়িয়েছে। তিনি বলেন, এটা মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সরকারের ব্যর্থতা ঢাকা দেওয়ার জন্য এগুলো করছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের কেন আসামি করা হয়েছে?। তিনি বলেন, বিএনপি হলো সরকারের এক নাম্বার টার্গেট। সরকারের এলার্জি হলো বিএনপি। অতএব বিএনপিকে হয়রানী করার জন্য এগুলো করছে।
এ প্রেক্ষিতে বিএনপির পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নিবেন?। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আমরা রাজপথে প্রতিবাদ করবো।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় ৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি পুলিশ বাদী হয়ে করেছে আর একটি র্যাব বাদী হয়ে করেছে। এর মধ্যে ৬টি মামলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ও একটি রূপগঞ্জ থানায় হয়েছে। এ ৭ মামলায় ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে (কোন মামলায় ২০, ২৫, ৪০ কিংবা তারও বেশি এভাবে) আর অজ্ঞাত আছে আরো প্রায় ৪ হাজার।
পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সূত্র মতে, আসামীদের তালিকাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান রবি, আবদুল হাই রাজু, মহানগর যুবদল নেতা মন্তাজউদ্দিন মন্তু, মাজেদুল ইসলাম, টিএইচ তোফা, অকিলউদ্দিন ভূইয়া, জুয়েল প্রধান, লিয়াকত হোসেন লেকু, নাসিক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, নাসিক কাউন্সিলর সাদরিল হোসেন, মৃত বিএনপি নেতা আলী হোসেন প্রধান, ইমাম হোসেন বাদল, আইয়ুব আলী মুন্সী, মোশারফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম দেওয়ান, মুফতী রুবেল, শাহআলম মানিক, রিপন, সালাউদ্দিন, আকরাম, মালেক ওরফে গাট্টা মালেক, মান্নান ডাক্তার, গোলাম কিবরিয়া, তৈয়্যব হোসেন, কামাল হোসেন, মনির হোসেন, মো. সোহেল, মোঃ জুয়েল, ফয়সাল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রওশন আলী, মহানগর ছাত্রদলের সেক্রেটারী মমিনুর রহমান বাবু, ছাত্রদল নেতা সাগর, জামায়াত নেতা বশিরউল্লাহ, মাসুম বিল্লাহ, শিবির নেতা রাসেল প্রমুখ।