সুনামগঞ্জে ফার্ণিচার কর্মচারীর হত্যাকারী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ২৭ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫৪ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সুনামগঞ্জে ফার্ণিচার কর্মচারীকে গলাগেটে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ঘাতকের নাম- সেলিম আহমদ সায়মন (২৪)।
সে জেলার ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে। আর মৃত কর্মচারীর নাম- ইমন আহমদ রাসেল (১৪)। সে জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে।
গতকাল শুক্রবার (২৬শে মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জবানবন্দি নিয়ে ঘাতক সায়মনকে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৫শে মার্চ) মধ্য রাতে বড়কাপন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘাতক সায়মনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মুক্তাখাই গ্রামের আজাদ মিয়ার ফার্ণিচারের কারখানার কর্মচারী হিসেবে চাকুরী করতো শিশু ইমন আহমদ রাসেল। একারণে রাতে ওই কারখানাতেই থাকতে হতো। তার সাথে থাকতো সহযোগী কর্মচারী সেলিম আহমদ সায়মন।
প্রতিদিনের মতে গত মঙ্গলবার (২৩শে মার্চ) রাতে দুজন খাওয়া দাওয়া শেষে করে কারাখানার ভিতর ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু পরদিন বুধবার (২৪শে মার্চ) সকাল ১১টা পর্যন্ত ওই কারখানা বন্ধ দেখে মালিক আজাদ মিয়া অনেকক্ষন ডাকাডাকি করে কোনা সাড়া না পেয়ে কারখানার দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে।
তারপর খাটের বিচানার মাঝে মোড়ানো অবস্থায় শিশু ইমন আহমদের গলাকাটা অবস্থায় রক্তাক্ত লাশ দেখে থানায় খবর দেয় মালিক আজাদ মিয়া। পরে পুলিশ এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
কিন্তু এঘটনার পর থেকে সহযোগী কর্মচারী সায়মনকে খোঁজ পাওয়া যায়নি সে পালিয়ে যায়। এঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার রাতেই নিহত ইমনের মামা নাসির মিয়া বাদী হয়ে ঘাতক সায়মনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা নং-১০ দায়ের করেন।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন- শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক সায়মনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়ে সে ১৬৪ ধারায় হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে।
বাটাইল নামক একটি যন্ত্র দিয়ে ইমনের গলার শ্বাসনালী কেটে হত্যা করে সায়মন।