গাইবান্ধায় গৃহবধূর শরীরে আগুন দিলেন স্বামী-শাশুড়ি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৯ এএম, ২৫ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১১ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় স্বামী ও শাশুড়ি মিলে শারমিন আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধূর শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার নির্মম ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্বামী কোরবান আলী ও শাশুড়ি কুলছুম বেগম ভুক্তভোগী গৃহবধূকে দিনভর আবদ্ধ অবস্থায় রাখেন ।
অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ দিনভর যন্ত্রণায় কাতরালেও নেয়া হয়নি কোনো চিকিৎসা কেন্দ্রে। পোড়া শরীরের যন্ত্রণায় গলা শুকিয়ে এলেও এক ফোটা পানিও দেয়নি কেউ। বিষয়টি জানাজানি হলে গৃহবধূর বাবার বাড়ির স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন । এ নির্মম ঘটনাটি ঘটে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাবিলের বাজার এলাকায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে কোরবান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় শারমিন আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে তার ওপর নির্যাতন করত স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। কারণে-অকারণে তাকে মারপিট করত।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ শারমিন অভিযোগ করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিটের পর তার শরীরে গ্যাস লাইট দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী কোরবান আলী ও শাশুড়ি কুলছুম বেগম।
স্বজনরা জানায়, খবর পেয়ে শারমিনের শ্বশুরবাড়িতে গেলে দগ্ধ অবস্থায় বিছানায় পরে থাকতে দেখেন তারা। শারমিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জেলা সদর হাসপাতাল নিয়ে এলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত (ওসি) মজিবর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগুনে পোড়ার ঘটনায় শারমিনের সাথে কথা বলা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সদর হাসপাতাল পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কারণ উদঘাটনে পুলিশি তৎপরতা চলছে।