মৃত ছাত্রীর জীবিত ফিরে আসা মামলার চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৬ পিএম, ২৩ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:২৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত স্কুল ছাত্রী কিশোরী জিসা মনির ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। অপহরনের পর ধর্ষণ শেষে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়ার ৪৯ দিন পর জীবিত ফিরে আসে জিসা মনি।
সেই জিসা মনির ঘটনায় আবদুল্লাহ (২২), রকিব (১৯) ও ইকবাল পন্ডিত (৪০) এর বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)।
১৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন। আদালত তা গ্রহন করে ২৯ এপ্রিল পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সাথে খলিলুর রহমান খলিল মাঝির বিরুদ্ধে তদন্তে কোন অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। ঢাকা পুলিশ হেড কোয়াটারের নির্দেশে মামলাটি গত বছরের ১১ নভেম্বর তদন্তের দায়িত্ব নেন সিআইডি।
গত ৪ জুলাই কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলার পর রকিব, খলিলুর রহমান (নৌকার মাঝি) ও আব্দুল্লাহ নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
তারা আদালতে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন খলিল ও আবদুল্লাহ। তবে গত ২৩ আগস্ট কিশোরীটিকে ফিরে আসে পরিবারে।
ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। জামিনে মুক্তি পেয়ে যুবকরা জানান, তাদেরকে রিমান্ডে পেটানো হয়েছে। নির্যাতন থেকে বাঁচতেই পুলিশের শিখিয়ে দেয়া কথা আদালতে বলেন।
ঘটনাটি ফাঁস হলে তিন জন জামিন পান। গত ২৩ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিটির বন্দরের নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকা থেকে জীবিত অবস্থায় ফিরে আসে কিশোরীটি।
তিনি আরো জানান, ইকবাল পন্ডিত নামে এক যুবককে বিয়ে করে বন্দর রেললাইন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল তারা। ওই কিশোরী যাকে বিয়ে করেছে বলে জানায় পুলিশ গ্রেফতার করে।
আবদুল্লাহ ও রকিব জামিনে রয়েছেন তবে ইকবাল পন্ডিত হাজতে। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরির্দশক (বরখাস্ত) শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত মামলা হয়েছে।
উচ্চ আদালতে জুডিশিয়াল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।