সুনামগঞ্জে ২জনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য, আত্মহত্যার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৯ পিএম, ২৩ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সুনামগঞ্জের দুই উপজেলায় এক যুবক ও এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতরা হলেন- জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার উত্তর বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামের সাব্বির মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২০) ও ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের বিল্লাই গ্রামের মনোহর আলীর স্ত্রী বেদানা বেগম (৪৮)।
গতকাল সোমবার (২২শে মার্চ) রাতে একজনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর অন্যজনকে ময়না তদন্ত ছাড়া রাতেই দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার বিকেলে জেলার ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের বিল্লাই গ্রামের গৃহবধু বেদানা বেগমের রহস্য জনক ভাবে মৃত্যু হয়।
এঘটনার প্রেক্ষিতে ওই গৃহবধুর বাবা আতাউর রহমানের অভিযোগ তার মেয়ে বেদানাকে তারই স্বামী মনোহর আলী ও তার পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। কারণ দীর্ঘদিন যাবত তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দ্বন্দ চলছিল।
আর স্বামী মনোহর আলী দাবী করছেন তার স্ত্রী বেদানা বেগম কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কেন সে আত্মহত্যা করে তা জানেন না। তবে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসী মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠে।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গৃহবধু বেদানা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
অপরদিকে ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার উত্তর বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামের একটি আম গাছে যুবক রাসেল মিয়ার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে থানায় খবর দিয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ এসে গাছ থেকে লাশ নামায়।
কিন্তু কেউ কি তাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে নাকি সে নিয়েই গলায় রশ্মি পেছিয়ে আত্মহত্যা করে তা জানা যায়নি। এনিয়ে এলাকাবাসী মাঝে রহস্যের সৃষ্ঠি হয়।
তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকার কারণে মৃত যুবক রাসেল মিয়ার লাশের ময়না তদন্ত ছাড়াই রাতে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও মধ্যনগর থানার ওসি নির্মল দেব এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান- গৃহবধু বেদানা বেগম ও যুবক রাসেল মিয়ার মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় পৃথক ২টি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।