চরফ্যাশনে সরকারি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের হিড়িক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ২০ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২৬ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ভোলার চরফ্যাশনে পৌর শহরের একমাত্র পানি নিস্কাশনের মাধ্যম সরকারী খালটি দখল করে নতুন নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের হিড়িক চলছে। চরফ্যাশন উপজেলা শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের পাড় দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।
দখল করে বাড়িঘর, মার্কেটসহ বহুতল ভবন তুলছেন কেউ কেউ। যে খালটি দিয়ে এক সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে জনগণ নৌকা বা ট্রলারে করে যাতায়াতসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী আনা নেয়া করতেন সেই খালটি দখলদারদের কবলে পড়ে মৃত প্রায় অবস্থা।
চরফ্যাশন শহরের সদর রোড ব্রিজ সংলগ্ন খাল পাড় এলাকায় একাধিক মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি চরফ্যাশন হাসপাতাল লিংক রোড ব্রীজ সংলগ্ন খালের দক্ষিণ পাড়ে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি।
এসব বহুতল ভবন নির্মাণ করায় খালের মাত্র ৫/৬ ফুট জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাকি খালটুকু ভরাট করে দখল করার পাঁয়তারা করছে কতিপয় প্রভাবশালী।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, খাল দখলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কিছু ভূমিদস্যূ, দখলদার ও তাদের সহযোগীতা করছেন ভূমি সংশ্লিষ্ট অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনতা দখলদারদের বিরুদ্ধে একাধিক বার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে সঠিক কোন প্রতিকার পাননি।
অভিযোগ আছে সচেতন মহলের কেউ কেউ উৎকোচ গ্রহণ করে চুপ থেকেছেন । ফলশ্রুতিতে দিনের পর দিন দখলদাররা খালটিকে দখল করে নিতে সাহস পেয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, চরফ্যাশন শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত সরকারী খালটির দ’পাড় দিনের পর দিন দখলদাররা কৌশলে দখল করে নিয়েছে। কেউ অবৈধ ড্রেজার দিয়ে আবার কেউ ট্রাকে করে বালু এনে খালটি ভরাট করে ফেলছে।
ভরাটের কিছুদিন পরেই দখলদাররা প্রথমে টিনের ঘর তোলে। এর কিছু দিন পরই সেই ঘর ভেঙে সেখানে পাকা বহুতল ভবন নির্মাণ করে মার্কেট করে ফেলছে।
এলাকাবাসী জানায়, শত বছরের পুরোনো খালটি দিন দিন দখলদারের দখলে চলে যাচ্ছে। দখলদারদের কবলে পড়ে খালটি আজ বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো অভিযোগ করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে শ্ত্রুতা তৈরি হচ্ছ।
একই সঙ্গে অভিযোগের কারণে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের লোকজনের পকেট ভারি হচ্ছে। অবিলম্বে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী খালটিকে দখলমুক্ত করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের।