শরীয়তপুরে আমেনার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ১৬ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় আমেনা বেগম হত্যা মামলায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার ও ইসলামপুর ইউনিয়নবাসী।
আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
শরীয়তপুর শহরের সরকারি গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের সামনে থেকে এই মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে নিহতের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী নজরুল ইসলাম মাদবর, দেবর সজল মাদবর, জা মাজেদা বেগম, দুই ননদ সাহানা বেগম ও রাজিয়া বেগম মিলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করে আমার বোনকে।
বিয়ের পর থেকেই সজল, মাজেদা, সাহানা ও রাজিয়া চায়নি নজরুলের সঙ্গে আমার বোন সংসার করুক। সেজন্য তারা ষড়যন্ত্র করছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই আমেনাকে হত্যা করেছে নজুরুল।
তিনি আরও বলেন, আমরা ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করি। কিন্তু এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনের নাম বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। এতে প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে। হত্যা মামলায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আমেনাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন স্বামী নজরুল। হত্যার সময় ও পরে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। ওই সময় স্ত্রীর লাশ খাটের ওপর তোশক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখান। একপর্যায়ে গান গাইতে দেখা যায় নজরুলকে।
একইদিন নজরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে নজরুলসহ পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত আমেনার বড় ভাই সুলতান মাদবর। ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
কিন্তু চার্জশিটে নজরুলকে একমাত্র আসামি দেখিয়ে বাকি চারজনকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডামুড্যা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, নিহত আমেনা বেগমের পরিবার পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে।
তাদের মধ্যে আমেনার স্বামী নজরুল ছাড়া আর কারো বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ কারণে বাকি চারজনের নাম বাদ দেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।