কয়া মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৯ পিএম, ১৬ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি ও অধ্যরে বিরুদ্ধে দুটি পদে দুজন নিয়োগের জন্য একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগের জন্য কলেজের জমি দাতার নিকট থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েও চাকরী না দেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী রাজা মালিথা জানান, কয়া মহাবিদ্যালয়ে ল্যাব সহকারী ও অফিস সহকারী পদে ২ জন প্রার্থী নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে কুষ্টিয়ার স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তী প্রকাশিত হলে তিনি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ ও সভাপতি এ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুন্নুর সাথে যোগাযোগ করলে তারা ৮ লাখ টাকা দাবী করেন।
তখন করোনা পরিস্থিতির কারনে নিয়োগ স্থগিত করে আবার একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তী প্রকাশ হয়। তিনি ল্যাব সহকারী পদে তার মেয়ে তিশা আক্তারের জন্য অধ্যক্ষের কাছে ৫ লাখ এবং সভাপতির কাছে ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয় কিন্তু লিখিত পরীক্ষা নেয়ার পর মৌখিক পরীক্ষা নেবার আগেই তিনি জানতে পারেন তার মেয়ের চাকরী না দিয়ে অন্য আরেকজন জনকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তিনি সভাপতি ও অধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কেউই কথা বলতে রাজি হননি। পরবর্তীতে লোক মারফত জানায় খুব দ্রুত টাকা ফেরত দেবার ব্যবস্থা করবেন। তিনি আরো জানান টাকা দেবার সময় একই এলাকার শরিফ মালিথা ও কালোয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মিলন উপস্থিত ছিলেন।
শরিফ মালিথা মুঠোফোনে জানান, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যাড. নিজামুল হক চুন্নু ও কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের নিকট টাকা দেয়ার সময় তিনি ও মিলন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কয়া কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ জানান, সভাপতি নিজামুল হক চুন্নু ৩ লাখ টাকা নিয়ে সেখান থেকে আমাকে খরচের জন্য ৬০ হাজার টাকা দিয়েছেন। চাকরী দেবার কথা বলে ৭ জন প্রার্থীর নিকট থেকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা নেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি হতচকিত হয়ে পড়েন এবং কিছুটা ধাতস্থ হয়ে বলেন এগুলো সঠিক নয়।
এ বিষয়ে কয়া কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিজামুল হক চুন্নুর সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
বিভিন্ন হতদরিদ্র মানুষকে চাকরী দেবার প্রলোভন দেখিয়ে সভাপতি ও অধ্যক্ষ দীর্ঘদিন যাবত টাকা আত্মসাৎ করে আসলেও এখনো পর্যন্ত তারা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। দ্রুতগতিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপরে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।