প্রক্সি আজাদ কারাগারে : শেষ রক্ষা হয়নি আসল আজাদেরও
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৪ এএম, ১০ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৪ পিএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রকৃত আসামি মো. আজাদ (৩০)। কিন্তু তার হয়ে কারাগারে ৬ মাস ধরে প্রক্সি দিচ্ছে মো. আজাদ প্রকাশ মনছুর (২৯) নামে এক ব্যক্তি। আর্থিক প্রলোভন ও দ্রুত জামিনের আশ্বাস দিয়ে তাকে প্রক্সি দিতে রাজি করানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু দিন যায় মাস যায় তার জামিন হয় না। অপরাধ না করেও তার ঠিকানা হয় কারাগার। তবে শেষমেষ রক্ষা পায়নি প্রকৃত আসামি আজাদও। আজ তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর চকবাজারস্থ আলী প্লাজার হোটেল ইমামগঞ্জে পতিতাবৃত্তি চলছে এমন খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। তখন হোটেল কক্ষ থেকে আটক করা হয় পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত কয়েকজন নারীসহ ৫ ব্যক্তিকে। তবে সেদিন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় হোটেল মালিক মো. আজাদ (৩০), মো. নুর হোসেন (৩৭) ও ম্যানেজার রঞ্জিত (৩০)। পরে এ ঘটনায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১২ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন চকবাজার থানার এসআই মো. আকরাম হোসেন।
পরে উক্ত মামলায় গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মো. আজাদ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। ১৪ সেপ্টেম্বর তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশ বুঝতে পারে এ আজাদ সে আজাদ নয়। আসল আজাদ রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তখন আসল আজাদের খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় আর লুকিয়ে থাকতে না পেরে গতকাল সোমবার মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসল আজাদ। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিয়াজ চৌধুরী বলেন, মানব পাচারের সে মামলায় প্রক্সি দেয়া আজাদ কোনোভাবে স্বীকার করছিল না যে, সে প্রক্সি দিচ্ছে। তবে ছবি দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি সে প্রক্সি দিচ্ছে। তারপর থেকে পুলিশি অভিযান চলে। এরই ধারাবাহিকতায় মূল আসামি আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ জানায়, মানব পাচারের অভিযোগে করা সে মামলার এজাহার অনুযায়ী আসল আজাদ চকরিয়া উপজেলার হারবাঙ্গ এলাকার বাসিন্দা আব্বাসের ছেলে। তার হয়ে প্রক্সি দেয়া আজাদও একই ঠিকানা ব্যবহার করে। কিন্তু তার আসল নাম রনি। তার বাড়ি হাটহাজারী এলাকায়। চকবাজার থানার এসআই ও মানব পাচারের উক্ত মামলার শুরুর দিকের তদন্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল গতকাল রাতে জানান, নাম রনি হলেও আর্থিক প্রলোভনে পড়ে সে হয়ে যায় আজাদ। ঠিকানা হয়ে যায় চকরিয়া।