বাবার স্মৃতি ছোট্ট দোকানটি আঁকড়ে আছেন ৬৩ বছর বয়সে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ৮ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:০৮ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাবার হাতে গড়া দোকান ৬৩ বছর বয়সেও পরম যত্নে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন, পৃথিবীতে আজ বাবা নেই কিন্তু বাবার স্মৃতিটুকু ছোট্ট দোকানটি ৬৩ বছর ধরে এখনো পরিচালনা করে আসছেন সন্তান।
এমন স্মৃতিচারণ ঘটনাটি ঘটে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কামদপুরে।
কারী হুরমুজ মিয়ার বয়স যখন পাঁচ বছর তখন থেকে বাবার সাথে দোকানে আসতেন ব্যবসা পরিচালনায় বাবাকে একটু সাহায্য করতে। দোকানে বাবাকে সাহায্য করতে করতে এক সময় ছোট্ট হুরমুজ মিয়া শিশু থেকে কৈশোরে পৌছে যান, বয়স বাড়ার সাথে সাথে দায়িত্বটাও আরো বেড়ে যায়।
ব্যবসায় বাবাকে সাহায্য করার পরিবর্তে পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে যান। সৃষ্টির নিয়ম অনুসারে ছেলে কৈশোর থেকে যুবকে আর পিতা যুবক থেকে বৃদ্ধে পরিনত হলে, পরিবার ও দোকান পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব পড়ে পুত্র হুরমুজ মিয়ার উপর।
পৃথিবীতে আজ পিতা কারী তৈমুছ মিয়া নেই, তবে পিতার দেওয়া দায়িত্ব পুত্র হুরমুজ মিয়া ৬৩ বছর বয়সেও এখনো পরম যত্নে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন, কিন্তু আধুনিকতার সংস্পর্শে মানুষের উচ্চ বিলাসি মনোভাবের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে না পারায় দোকানের গ্রাহক সংখ্যা খুবই সামান্য।
ভোর ও সন্ধ্যায় স্থানীয় কিছু গ্রাহক চা পান করলেও দিনের বেলায় অধিকাংশ সময় দোকান বন্ধ থাকে। কালের বিবর্তন আর আধুনিকতার অন্তরায় প্রাচীন ও আদি ধ্যান ধারনায় নির্মিত বাঁশ, ছনের দোকানটি আজ কেবল বাবার স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
হরমুজ মিয়ার ৪ ভাই ও এক বোন। বোনের বিয়ে হয়ে স্বামীর বাড়ি, আর ভাইয়েরা সবাই যার যার কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও হুরমুজ মিয়া বাবার দেওয়া দায়িত্বে এখনো ব্যস্ত।