লাকসামে মৌসুমী ফল তরমুজের কেনাবেচা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ৮ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৯ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের বানিজ্যিক নগরীখ্যাত দৌলতগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজার জুড়ে চড়া দাম নিয়ে বাজারে এলো মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ।
স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী জানায়, গ্রীষ্মকালে তৃপ্তিদায়ক ও উপকারী রসালো ফল এ তরমুজ। কুমিল্লার চান্দিনা, নিমসার , দাউদকান্দি, বরুড়া, চাঁদপুর-নোয়াখালী চরাঞ্চল ও সিলেট-চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এ তরমুজ।
কৃষকরা এতে উৎপাদিত পন্যের ভালো দাম পেয়ে খুশি। কিন্তু ক্রেতারা এখনো কিনতে আগ্রহ না দেখালেও এলাকার কিছু সৌখিন মানুষ বছরের প্রথম মৌসুমী ফল হিসাবে দাম অত্যন্ত চড়া বিধায় তারা অনেকটাই অখুশি। ক্ষেতে পাঁকা তরমুজের ভালো দাম পাওয়ার আশায় মৌসুম না আসতেই আগে ভাগে বাজারে তুলতে শুরু করেছে কৃষকরা।
পাইকারী তরমুজ বিক্রিতে প্রতিটা ১’শ৫০ টাকা থেকে ২’শ৫০ টাকা। আর পরিবহন খরচ সহ নানা খাতে ব্যয় ধরে ১০% লাভে প্রতিটি তরমুজ খুচরা বাজারে ২’শ টাকা থেকে ৪’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, শীতের শেষে বসন্তের আগমণে মৌসুমী জলবায়ুর প্রবাহে এ অঞ্চলে এখনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তরমুজ ক্ষেতের মালিকরা রয়েছেন ফুরফুরে খোশ মেজাজে। কারন আগাম ফলন ভালো হয়েছে এবং দামও অনেক বেশি পাচ্ছে।
প্রকৃতি অনুকুলে থাকলে মহামারী দূর্যোগ করোনা কালেও রসালো ফল তরমুজ মানুষ কম দামে সাচ্ছন্দে খেতে পারবে। এ রসালো ফল তরমুজ মানবদেহের নানা রোগ প্রতিরোধে উপকরণ হিসেবে এবং সু-স্বাধু খাবার তৈরীতে ব্যবহার হয়ে থাকে।
বিশেষ করে তরমুজ চাষাবাদে কৃষি দপ্তরের সবগুলো পদ্ধতি ব্যবহার ও স্থানীয় সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে চাষাবাদ করায় এ মৌসুমী ফল তরমুজের এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। অপরদিকে ১ একর জমিতে তরমুজ চাষাবাদে সকল ব্যয় হিসাবে বাদ দিয়ে প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা লাভবান হবে কৃষকরা।
স্থানীয় বাজারে তরমুজ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানায়, আমরা দেশের বিভিন্ন মোকাম থেকে নানা মৌসুমী ফল-ফলাদি আমদানী করে থাকি। বর্তমানে চট্টগ্রাম সিলেটের পাহাড়ী অঞ্চলে তরমুজের আগাম হাট বসার খবর পেয়ে সে অঞ্চলের তরমুজগুলো গত ১৫ দিন যাবত বিক্রি করে আসছি। তবে পাইকারী বাজারে নতুন এ রসালো ফলটির দাম অনেক চড়া বিধায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
আগামী কিছুদিনের মধ্যে দেশের উত্তরবঙ্গ কিংবা চাঁদপুর-নোয়াখালী চরাঞ্চলের তরমুজ পাকা ধরলে দাম অনেকাংশই কমে যাবে। এখন এ ফলটি ভালো ভাবে এখনো পাকেনি। কিংবা মিষ্টি-স্বাদ হয়নি। বৃষ্টিপাতের পরপরই সাধারণত এ তরমুজ সু-স্বাধু হয়ে উঠবে।