লাউয়াছড়ায় ব্যাঙ্গের ছাতার আদলে মানব ছাতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৬ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ। প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য ও বণ্যপ্রানীর অভয়ারণ্য লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মধ্যে হঠাৎ যেন জেগে উঠল বিশালকৃতির এক ব্যাঙের ছাতা। বিস্মিত ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীরা।
হঠাৎ শুনলে মনে হবে যে কোন কাল্পনিক অস্তিত্ব কিন্তু না একোন কাল্পনিক বা রূপকথার গল্প নয়, তবে অবাক হওযার মতোই বটে। পূর্বেত এটা এখানে ছিল না। হঠাৎ করে কোথা থেকে কিভাবে এলো ! ভ্রমনে আসা দর্শনার্থীরাও হতবাক। মনে হয় পাহাড়ি কোনো বড় ব্যাঙের ছাতা।
আসলে এটি কোন ব্যাঙের ছাতা বা মাশরুম নয়। লাউয়াছড়ায় ঘুড়তে আসা দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য লাউয়াছড়া বন বিট ও সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির আর্থিক সহযোগিতায় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্যাঙের ছাতার আদলে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মানব ছাতা।
বন বিভাগের সাবেক বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, দর্শনার্থীরা যাতে বনের ভিতরে ভ্রমনের পাশাপাশি বাড়তি আনন্দ পায় এবং সেই সাথে ক্লান্তি অনুভব করলে যাতে একটু বিশ্রাম নিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে সেজন্যই আমরা (বন বিভাগ) ব্যাঙের ছাতার আদলে মানব ছাতাটি তৈরি করেছি, মুলত ইট কাঠের চার দেয়ালে আটকা পড়া নগর কেন্দ্রীক পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দেয়ার জন্য। বিশেষ করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য।
রৌদ্রের তাপ আর বৃষ্টির পানি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গভীর বনে একমাত্র আশ্রয়স্থল ব্যাঙের ছাতার আদলে তৈরী এই মানব ছাতাটি। লাউয়াছড়ায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা জানায়, এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে, স্থানীয়ভাবে বসতি করার ইচ্ছে হচ্ছে মনে হয় ঢাকায় না যেতে। বিশেষ করে মানব ছাতাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে, দেখতেও সুন্দর।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এই মানব ছাতা দর্শনাথীদের আনন্দ দেয়ার জন্য অন্যতম স্থান। মানব ছাতাটির উচ্চতা ৮ ফুট এবং চওড়া ১২ ফূট। দৃষ্টি নন্দন মানব ছাতাটির উপরে সবুজ রঙের প্রলেপ দেয়া হয়েছে। ব্যাঙের ছাতার আদলে দেওয়া হয়েছে একটি কলি।
প্রতিদিনই এখানে ঘুড়তে আসা দর্শনার্থীরা ব্যাঙের ছাতায় বসে আলোকচিত্রের পাশাপাশি বন্যপ্রানী ও প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ব্যাঙ্গের ছাতার আদলে মোট ৩ টি মানবছাতা নির্মান করা হয়েছে।