পীরগঞ্জে সেচ পাম্পের সহ বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িকঃ দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৬ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪৭ এএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
পীরগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ১২টি গভীর নলকুপ ও মিল চাতালের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় সহস্রাধিক কৃষক চলতি বোরো মৌসুমে আবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
বিভিন্ন অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী দিনগত রাতে উপজেলার হরিপুর সিনিয়র মাদ্রাসা, হরিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা অফিসের তালা ভেঙ্গে আলমিরাতে রক্ষিত কাগজপত্র তছনছ ও ১০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। তবে ল্যাপটপ, কম্পিউটারহর অন্যান্য মূল্যবান আসবাবপত্র চুরি যায়নি। এদিকে ভেন্ডাবাড়ী পল্লিবিদ্যুৎ সাব-যোনাল অফিস থেকে ২ কিলোমিটার অদুরে প্রান্নাথপুর, হরিপুর ও পঁচারপাড়া মৌজায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারী দিনগত গভীর রাতে মিজানুর রহমানের গভীর নলকূপের মিটার, হারুন মিয়ার ১টি, কাইয়ুম মিয়ার ২টি, নুর রন্জু মিয়ার ১টি ও আব্দুল জলিলের ১টিসহ মোট ৬টি গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি গেছে।
এ ব্যাপারে পরদিন পীরগঞ্জ থানায় পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। অপরদিকে এক সপ্তাহ পুর্বে গুর্জিপাড়া বাজার এলাকা থেকে আব্দুল কাফি মিয়ার ১টি, ফারুক মিয়ার ১টি ও আবু তাহের মন্ডলের ১টি মিল চাতালের বৈদ্যুতিক মিটার, জগদিশ চন্দ্রের ছ’মিল, ইন্জিল মিয়া ও একরামুল মিয়ার গভীর নলকুপের মিটার চুরি যায়।
এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের অভাবে জমিতে পানি না থাকায় অনেক সাধারণ কৃষক যেমন দিশেহারা হয়েছে পড়েছেন, তেমনি গভীর নলকূপ মালিকরাও রয়েছেন প্রচন্ড চাপে। হরিপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম, প্রান্নাথপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, ভীমশহর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, পঁচারপাড়া গ্রামের সাগর মিয়া জানান, জমিতে পানি না থাকার কারণে ক্ষেতে প্রথম পর্যায়ের সার বা কীটনাশক দেয়া হয়নি। এমনভাবে চলতে থাকলে ক’দিনের মধ্যেই বোরো ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বৈদ্যুতিক মিটার চুরি যাওয়ায় গভীর নলকূপের মালিকরা পুনরায় মিটার প্রাপ্তীতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হয়রানীর শিকার হওয়া সহ নতুন করে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবার রহমান বলেন, আমরা চোরদের ধরার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। অপর দিকে রংপুর জেলা পুলিশের ডি-সার্কেল কামরুজ্জামান (পিপিএম-সেবা) এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা মিটার চোরকে চিহ্নিত করতে পেরেছি কিন্তু একাধিক বার স্থান পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচেছ না।