ক্ষেতলালের সেই ইউপি চেয়ারম্যানের সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩৩ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
অবশেষে বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু রাশেদ আলমগীরের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ৪৬.০০৩৮০০.০১৭.২৭.০০১.১৬-২৩০ নম্বর স্মারকে সিনিয়র সহকারী সচিব আবুজাফর রিপন স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো চিঠির সুত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসক বরাবরে অনিয়ম না করার অঙ্গীকারনামা প্রদানের শর্তে প্রথমবারের মত নির্দেশক্রমে ক্ষমা করা হলো। সেই সাথে স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ৯৮৩ নং স্মারকে জারীকৃত চেয়ারম্যানের সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হলো।
প্রসঙ্গত : অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অধিশাখা গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু রাশেদ আলমগীরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করেন। পরবর্তীতে ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে চেয়ারম্যান উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন (যার নং ৬৫৩৪/২০২০) করেন। শুনানি শেষে উচ্চ আদালত গত বছরের ২ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের উক্ত বরখাস্তাদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। আদালতের নির্দেশে চেয়ারম্যান পরিষদ পরিচালনা করা অবস্থায় মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান আবু রাশেদ আলমগীর বলেন,‘অনিয়ম হলেও আমার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না। প্রতিপক্ষরা আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু তদন্তে দুর্নীতি না পেয়ে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে’।
জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেন,‘চেয়ারম্যানের মাধ্যমেই তার বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি আসার কথা জেনেছি। চিঠি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।