তালতলীতে পাঁচশ টাকায় মিলছে করোনার ভুয়া সনদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৮ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪৮ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় একটি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পরে গত জানুয়ারি মাসে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। এই অল্প কিছু দিনে প্রায় এক হাজার শ্রমিক কাজ করছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
এ সব শ্রমিকদের করোনা টেস্ট করে কাজে ঢুকতে হয়, কাজে ঢোকার পরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও কিছু শ্রমিকরা কোয়ারেন্টাইন না মেনে অসৎ উপায়ে বাহিরে বের হয়ে লোকসমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে, চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে।
এদের অধিকাংশ শ্রমিকের কোনো রকমের করোনা টেস্ট না করে কম্পিউটারের দোকান থেকে এডিট করে ভুয়া সনদ তৈরি করে কাজে ঢুকেছিল। এই করোনার ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে একটি প্রতারক চক্র।
প্রতারক চক্রের এক সদস্য ইব্রাহিম শেখ উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার নামের একটি বাজারে কম্পিউটারের দোকানে মেমোরি লোডের কাজ করে পাশাপাশি শিখেছিল ফটোশপের কাজ। ফটোশপকে পুঁজি করে ভুয়া করোনার সার্টিফিকেট তৈরি করে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে।
ইব্রাহিম শেখের কাছ থেকে ভুয়া করোনার সার্টিফিকেট ক্রয় করা এক ভুক্তভোগী মো. আউয়াল হোসন জানান, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি নেওয়ার জন্য করোনা টেস্টের দরকার হয় কিন্তু আমি না বুঝে ৫০০ টাকা দিয়ে ভুয়া রিপোর্ট কিনেছিলাম।
এ বিষয়ে ইব্রাহিম শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কাছে এলে টাকার বিনিময়ে করোনা টেস্টের রিপোর্ট তৈরি করে দেই।
কমডেকা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট কম্পিউটার এডিট করে যারা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। একটা সমাজকে ধ্বংস করার জন্য এরকমের অসাধু ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিঃ) আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কম্পিউটারে দোকানে করোনার রিপোর্ট দেওয়া প্রতারণার সামিল। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।