৪৮ বছর পর শহীদ মিনার পেলো ধামারন ত্রিপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০২ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫২ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছর পর নিজস্ব শহীদ মিনার পেয়েছে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ৩৩নং ধামারন ত্রিপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এখন আর কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে না তাদের।
আসছে ২১ ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নির্মিত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। এতে করে উচ্ছাস্বিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আর নিজস্ব অর্থায়নে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আহম্মেদ কাজীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলু সামসুন নাহার জানান, ১৯৭২ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য ধামারণ ত্রিপলী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই বঙ্গবন্ধু সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে এই বিদ্যালয়টিও জাতীয়করণ করা হয়। তবে এরপর এত বছর কেটে গেলেও বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার তৈরি করা হয়নি।
বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭ জন শিক্ষক ও প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। গত বছর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য আলী আহম্মেদ কাজী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিদ্যালয় মাঠের উত্তরপাশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করেন।
দৃষ্টিনন্দন এই শহীদ মিনারটির দৈঘ্য ২৮ ফুট ও প্রস্থ ১৯ ফুট। ইতোমধ্যেই শহীদ মিনারটি রঙ করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন থেকে এই শহীদ মিনার ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির, আরমান, আলিফ, ছোয়া, সাদিয়া বলেন, এবার ২১ ফেব্রুয়ারীতে আমরা আমাদের স্কুলের পাকা শহীদ মিনারে ফুল দিবো। আমরা অনেক খুশি। আমরা আমাদের স্কুলের সভাপতি আলী আহম্মেদ কাজীর প্রতি কৃতজ্ঞ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলু সামসুন নাহার বলেন, এতদিন শহীদ মিনার না থাকায় আমরা কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতাম। এবার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আহম্মেদ কাজী নিজস্ব অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণ করায় আমাদের আর আগের মতো কষ্ট করা লাগবে না। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আহম্মেদ কাজী বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমি শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেছি। এতে শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের কথা জানতে পারবে। আমি কাজটি করে তৃপ্তি পেয়েছি।