আমতলীতে ইটভাটা থেকে ৬ লক্ষ টাকা লুট! পৌরসভার প্যানেল মেয়রের নামে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২১ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩৬ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে বরগুনার আমতলী পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র-১ মোঃ হাবিবুর রহমান মীরসহ ৯ জনকে আসামী করে ৬ লক্ষ টাকা লুটের অভিযোগে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আকন ব্রিকসের মালিক মোঃ কামাল আকন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত হয়েছে বলে আমতলী থানা নিশ্চিত করেছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, আমতলী উপজেলাধীন জেএল ৩০নং চাওড়া মৌজার এসএ ১৪২নং খতিয়ানের বাদী কামাল আকনের ভোগদখলীয় জমি নিয়ে ১নং আসামী আমতলী পৌর প্যানেল মেয়র ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান মীর গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধিয় জমি নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলমান ও স্থিতিবস্থায় বজায় রাখার জন্য আদালত রায় প্রদাণ করেন। এ রায়কে অমান্য করে ১নং আসামী হাবিবুর রহমান মীর ওই বিরোধিয় জমিতে ঘর দরজা উত্তোলনের পায়তারা করে। বাদী কামাল আকন গংরা এর প্রতিবাদ করলে আসামীরা তাদের উপড় ক্ষিপ্ত থাকে। এ ঘটনার রেস ধরে গত মঙ্গলবার সকাল সারে ৮টার দিকে আকন ব্রিকসের শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরী দেয়ার জন্য মোটর সাইকেল যোগে নগদ ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে ব্রিকস মালিক কামাল আকনের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম সুজন, ব্রিকসের ম্যানেজার মোঃ ইমরান ও রিজন হাওলাদার যাওয়ার পথে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকা পৌছলে ১নং আসামী পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ হাবিবুর রহমান মীরের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী বেল্লাল গাজী, আরিফ, আমানউল্লাহ, মনির, আবু কালাম, আল-আমিন ও হাচান চাপাতি, লোহার রড, রামদা, ছেনা, লাঠিসোটা নিয়ে তাদের মোটর সাইকেল থামিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে তাদের তিন জনকে গুরুতর জখম করে। এ সময় সাইফুল ইসলাম সুজনের সাথে থাকা একটি ব্যাগে নগদ ৬ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় ও স্বাক্ষীরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বরিশাল শেবাচিম ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান মীরকে প্রধান আসামী করে তার শ্যালক বেল্লাল গাজী, আরিফ, আমানউল্লাহ, মনির, আবু কালাম, আল-আমিন ও হাচানসহ ৯ জনেরর বিরুদ্ধে ৬ লক্ষ টাকার লুটের মামলা দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়েছে বলে আমতলী থানা নিশ্চিত করেছে।
বাদী কামাল আকন বলেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান মীরের সাথে আমাদের ভোগ দখলীয় জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যা নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা ও স্থিতি অবস্থা চলমান থাকার পরেও উক্ত জমিতে ঘর দরজা উত্তোলনের পায়তারা করে আমি এর প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী নিয়ে অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ভাতিজা ইটভাটা ম্যানেজারকে মেরে আহত করে ৬ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।