কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার ১০৯ জন বিএনপি নেতাকর্মী আত্মসমর্পণের পর কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩২ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রায়টুটি ইউনিয়নের ১০৯ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে জামিন নামঞ্জুর করে বিচারকের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১১২ জন নেতাকর্মী আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। জেলা ও দায়রা জজ সায়েদুর রহমান খান তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার এজাহার মতে, আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের অভিযোগ রয়েছে। বিচারকের নির্দেশের পর বিকালে সবাইকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় জামিনপ্রাপ্ত রায়টুটি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট তানজির সিদ্দিকী রিয়াদ জানান, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ব ঘোষিত সম্মেলন চলাকালে পুলিশ হঠাৎ হামলা চালিয়ে বেধড়ক লাঠিপেটা করে পন্ড করে দেয়। এ সময় দলের ২০-৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনার দুদিন পর ১৯ ডিসেম্বর ইটনা থানার বাদলা তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মো. তাওহিদ বিশ্বাস বাদী হয়ে ১২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গত ২৮ ডিসেম্বর এজাহারভুক্ত ১১২ জন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আত্মসমর্পণ করে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা মতে গতকাল কিশোরগঞ্জে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব শ্যামল মিল্কি, ইটনা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবেদ খান, রায়টুটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান মিল্কি এবং উপজেলা উলামা দলের আহবায়ক মাওলানা নাজিম উদ্দিন।
আদালতে উপস্থিত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম বলেন, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে পুলিশ একতরফা হামলা চালিয়েছে এবং পরবর্তীতে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আসাদ রেজা জামিন আবেদন শুনানি করেন।