পাঁচবিবিতে আ’লীগ নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৭ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০১ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের মৃত রইচউদ্দীনের পুত্র শাহজাহান আলী (৩০) নিহত হয়।
আজ রবিবার এ ঘটনায় মোহাম্মপুর ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএম মোজাম্মেল হক তালুকদার ও তার ছোট ভাই পবনসহ ৬ জন ও অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাবি মোছাঃ বেদেনা আক্তার।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার একই ইউনিয়নের শাহাজাদপুর এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত জেরে নিহতের পরিবার ও এ মামলার আসামিদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হলে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে বিরোধীয় শাহজাদপুর মৌজার ১ একর ৬০ শতক সম্পত্তিতে সরাইল গ্রামের মৃত আব্দুল রহমান তালুকদারের পুত্র এবিএম মোজাম্মেল হতো তালুকদার তার ছোট ভাই এবিএম নুরুজ্জামান তালুকদার পবন, খোকশাগাড়ী গ্রামের মৃত নায়েব আলীর পুত্র আঃ আজিজ (৪২)সহ ১২-১৫ জনের সংঘবদ্ধ দল জমিতে পানি প্রবেশ করিয়ে হালচাষ দেয়ার চেষ্টা করে। হালচাষ দেয়ার সময় মৃত শাহজাহান পক্ষের কয়েকজন বাধা দিলে তারা ফিরে যায়। পরে বিকেল ৩টায় আবারো ওই জমিতে হালচাষ দিতে শুরু করলে শাহজাহানের ভাতিজা মতিয়ার বাধা দিতে গেলে তাকে বেদম মারপিট করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে এবং মোবাইল ফোনে পরিবারের নিকট কান্নার খবর পৌঁছে দেয়। মতিয়ারকে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে বহরমপুর গ্রামে থেকে শাহজাহান ও মতিয়ারের পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে মতিয়ারকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এ সময় এবিএম মোজাম্মেল হক তালুকদার পক্ষের মারপিটে শাহজাহানসহ কয়েকজন আহত হয়। এর মধ্যে শাহজাহানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে শাহজাহানের মৃত্যু হয়। ঘটনার বিষয়ে প্রতিপক্ষ এবিএম মোজাম্মেল হক তালুকদারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বিরোধীয় শাহজাদপুর মৌজার ২ একর সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগ দখল করে আসছে। জমির বর্তমান রেকর্ড ও খারিজ তাদের পক্ষে আছে। এর পরেও প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময় চাষবাদে বাধাসহ হাঙ্গামা করে আসছে। তাদের বাধা ও হাঙ্গামার বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় কয়েক দফা দেন-দরবার হয়েছে। মামলার বিষয়টি থানার অফিসার্স ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব নিশ্চিত করেছেন।